ত্বকের বিভিন্ন রকম অ্যালার্জির মধ্যে আর্টিকেরিয়া বা আমবাত বেশি দেখা যায়। এতে সব শরীর চাকা চাকা হয়ে লাল হয়ে ফুলে ওঠে ও ভীষণ চুলকায়। সাইজ কয়েক মিলিমিটার থেকে শুরু করে সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। এ ধরনের আমবাত কখনো কখনো শরীরের বাইরে না হয়ে শরীরের ভিতরেও হতে পারে, যেমন আমাদের ঠোঁটে-চোখের ভিতরে।
আর্টিকেরিয়ারের প্রকারভেদ :
একিউট আর্টিকেরিয়া : এতে খুব দ্রুত উপসর্গগুলো দেখা যায়, আবার খুব দ্রুতই মিলিয়ে যায়। সাধারণত ৬ সপ্তাহের কমই থাকে এবং বাচ্চাদের ক্ষেত্রেই বেশি হয়ে থাকে।ক্রনিক আর্টিকেরিয়া : এ ক্ষেত্রে বার বার হয়ে থাকে এবং ৬ সপ্তাহের বেশি; কারও কারও ক্ষেত্রে মাসের পর মাস এমনকি বছরের পর বছরও চলতে থাকে।
তবে সম্ভাব্য কারণগুলো হলো :
খাওয়া থেকে বিশেষ করে গরুর গোশত, চিংড়ি, ইলিশ, বেগুন, কুমড়া, কচু এবং ওষুধ, অ্যান্ডোক্রইন, কোলাজেন ভাসকুলার রোগে, কলিনার্জিক ইত্যাদি।
অ্যালার্জি পরীক্ষা : আর্টিকেরিয়া বা আমবাতের প্রধান পরীক্ষাই হলো অ্যালার্জি পরীক্ষা। কোন জিনিসে অ্যালার্জি তা নির্ণয় করা যায়।
অ্যালারজেন পরিহার : যখন অ্যালার্জির সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায় তখন তা পরিহার করে চললেই সহজ উপায়ে
অ্যালার্জি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
ওষুধ প্রয়োগ : অ্যালার্জি ভেদে ওষুধ প্রয়োগ উপশম পাওয়া যায়।
ইমুনোথেরাপি : বর্তমানে চিকিৎসা ব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। উন্নত দেশের সব প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ভ্যাকসিন চিকিৎসা বর্তমানে বাংলাদেশেই রয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা প্রতিকার নয় প্রতিরোধ সর্বদা উত্তম।
অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাশ
দি অ্যালার্জি অ্যান্ড অ্যাজমা সেন্টার, পান্থপথ, ঢাকা।