Renal Colic বলতে কিডনিতে পাথুরিজনিত ব্যথাকে বুঝায়। তা ছাড়া ইউরেটরের পাথুরির জন্যও তীব্র ব্যথা হতে পারে। যাকে Ureteric Colic বলা হয়। মূত্রগ্রন্থি বা কিডনির মধ্যে পাথরের সৃষ্টি হলে মূত্রপাথুরী বলা হয়। এই পাথর কণা কখনো মূত্র কোষে, কখনো মূত্রবাহী নালিতে বা মূত্রথলিতে এসে জমা হয় এবং প্রস্রাব অবরুদ্ধ করে। ফলে তীব্র যন্ত্রণার সৃষ্টি করে। পাথর কণা বিভিন্ন আকারের হতে পারে। বর্তমান সময়ে এ রোগটি অনেক প্রসার ঘটেছে। সাধারণত মহিলা অপেক্ষা পুরুষের এই রোগটি বেশি দেখা যায়। বিভিন্ন কারণে মূত্রপাথুরি হতে পারে। যেমন- অতিরিক্ত চুন খাওয়া, পরিপাক ও পরিপোষণ কাজের ব্যাঘাত ঘটা। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জলবায়ু ও পেশাগত কারণের ওপর অনেকটা নির্ভর করে। এ ছাড়া শরীর থেকে অত্যধিক ঘাম নির্গত হলে, কোনো কারণে মূত্রারোধ দেখা দিলে, স্নেহজাতীয় খাবার বেশি খেলে, রক্ত সংবহন ক্রিয়ায় ব্যাঘাত প্রভৃতি কারণে মূত্র পাথুরি হতে পারে। মূত্রযন্ত্রের পাথুরিজনিত সমস্যার লক্ষণ নির্ভর করে এর অবস্থিতি, আকার ও আকৃতির ওপর। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যথা-বেদনা বা কোনো লক্ষণ ছাড়াই কয়েক বছর পর্যন্ত পাথর থাকতে পারে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যথা অনুভূত হয়। এ ছাড়া বারবার প্রস্রাব করার ইচ্ছা বা প্রস্রাব হওয়া, কখনো প্রসাবের সঙ্গে রক্ত ও পুঁজপড়া, ব্যথা যে কোনো এক পাশের কিডনি বা ইউরেটারে শুরু হয়ে নিচে কুঁচকির দিকে কখনো পেট বা বুকে প্রসারিত হয়। অনেক সময় অণ্ডকোষ ফুলে যায়, ফোঁটা ফোঁটা কষ্টকর প্রস্রাব হয়। এতে কারও ক্ষেত্রে সংকটাপন্ন অবস্থা তৈরি হয়। তাই এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
অধ্যক্ষ ডা. আবুল কালাম আজাদ
সিনিয়র কনসালটেন্ট, হোমিও প্যাথিক ফাউন্ডেশন হাসপাতাল, ঢাকা। ফোন : ০১৯২৮৭০৫০৩০