নাকের মিউকাস মেমব্রেন অধিক বৃদ্ধি পেলে বা তাতে জলীয় পদার্থ বেশি জমলে মেমব্রন থেকে আঙ্গুর ফলের মতো বস্তু দেখা দেয়, যাকে পলিপ বলে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নাকের সম্মুখভাগে দেখা দেয়। একসঙ্গে একের অধিক হতে পারে। এছাড়া পলিপ দুই প্রকার। একটি হলো অ্যালার্জিজনিত, অন্যটি সাইনাসের পুরনো প্রদাহজনিত।
লক্ষণ : যখন পলিপ
ছোট থাকে তখন কোনো লক্ষণ থাকে না। ধীরে ধীরে লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়। যখন বড় আকারের হয় তখন শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা ও সাইনাসের স্বাভাবিক বন্ধ হয়। রোগীর প্রায়ই সর্দি হতে থাকে এবং নাক বন্ধ থাকার অনুভূতি অথবা পর্যায়ক্রমে এক নাকের বন্ধ থাকার অনুভূতি সৃষ্টি হয়। প্রথম পর্যায় নাকের শ্লেষ্মা পানির মতো থাকে। যখন জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয় তখন পুঁজযুক্ত হয়। ব্যথাও হতে পারে।কারণ : নাকের ছিদ্রপথের উপরের দিক স্বভাবত অপরিসর। মধ্যবর্তী কনকা ও মিডল মিয়াটাসের পাশে স্থান খুব কম থাকায় এই স্থানে প্রদাহ হলে বা অ্যালার্জিজনিত পরিবর্তন হলে স্থানীয় মিউকাস মেমব্রেন নিচের দিকে বৃদ্ধি পেতে থাকে। তা ছাড়া বার বার নাক পরিষ্কার করার সময় চাপের দরুন মিউকাস মেমব্রেন নিচের দিকে প্রলম্বিত হয়। চিকিৎসায় নাকের পলিপ আরোগ্য সম্ভব। তবে অবহেলা না করে প্রাথমিক অবস্থা থেকেই চিকিৎসা করানো উচিত।
অধ্যক্ষ ডা. কালাম আজাদ
কনসালটেন্ট, হোমিওপ্যাথিক ফাউন্ডেশন হাসপাতাল, ঢাকা।
ফোন : ০১৯২৮৭০৫০৩০