আজকাল অনেক রোগীর মুখে শোনা যায় পেটে গ্যাস উঠে ও বুকে চাপ দেয়। এ রোগীরা গ্যাসটিকের ওষুধ খেতে খেতে শেষ, একটার পর একটা এনডোসকপি আর গ্যাসের ওষুধ চলছে দিনের পর দিন।
রোগীদের ভাবনা : তার হার্টের অসুখ এজন্য বারবার ইসিজি ও ইকোকার্ডিওগ্রাম করে বেড়াচ্ছে। মাথা ঝিমঝিম করছে-মানে স্টোক করে ফেলবে। হাত-পা অবশ হয়ে আসছে মনে হয় প্যারালাইসিস হয়ে যাবে। যে কোনো সময় মৃত্যু হতে পারে।
কীভাবে বুঝবেন যে প্যানিক ডিজঅর্ডার রোগে ভুগছেন : হঠাৎ করে বুক ধড়ফড় করা, শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়া, মাথা ঝিমঝিম করা। দম বন্ধ হয়ে আসা, বড় বড় করে হাঁপানি রোগীর মতো শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া। হাত-পা অবশ হয়ে আসা। শরীরের কাঁপুনি হওয়া। বুকের মধ্যে চাপ লাগা এবং ব্যথা অনুভব করা। এমনো দেখা গেছে, কোনো কোনো রোগী বলে হঠাৎ পেটের মধ্যে একটা মোচড় দেয় তারপর ওপর দিকে উঠে বুক ধড়ফড় শুরু হয় সঙ্গে সঙ্গে হাত-পা অবশ হয়ে যায়। আর কথা বলতে পারে না। বমি বমি ভাব লাগে। পেটের মধ্যে অস্বস্তি বোধ লাগা ও গলা শুকিয়ে আসা। পেটের মধ্যে গ্যাস ওঠে, খালি গ্যাস গ্যাস উঠে এবং বুকে চাপ দেয়। দুশ্চিন্তা থেকেও মাথাব্যথা হতে পারে কোনো কোনো রোগী বুকে ব্যথা ও হাত-পায়ের ঝিমঝিমকে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ মনে করে প্রায়ই ছুটে যান হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে ডাক্তার দেখাতে। মৃত্যুভয় দেখা দেওয়া মনে হয় যেন এখনই মরে যাবেন রোগ যন্ত্রণায়। নিজের প্রতি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা। বারবার হাসপাতালে ভর্তি হওয়া/ইসিজি করা। দূরে কোথাও গেলে কাউকে সঙ্গে নিয়ে যায়।ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন
সহকারী অধ্যাপক, আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল,
ধানমন্ডি, ঢাকা।
