শুক্রবার, ৩০ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

ডিমেন্সিয়া বা স্মৃতিশক্তি লোপ

ডা. মো. রশিদুল হক

ডিমেন্সিয়া বা স্মৃতিশক্তি লোপ

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় আমাদের সম্পূর্ণ স্বজ্ঞানে পূর্বে অর্জিত বুদ্ধিভিত্তিক দক্ষতা হারানোকে ডিমেন্সিয়া (স্মৃতিশক্তি লোপ) বলে। ডিমেন্সিয়া দুই ধরনের— ১। নিরাময়যোগ্য ডিমেন্সিয়া ও ২। অনিরাময়যোগ্য ডিমেন্সিয়া। এটি বয়স্কদের একটি সাধারণ রোগ। ৬৫ বছরের উপরে ১০০ জনে পাঁচজন এবং ৮০ বছরের উপরে ১০০ জনে ২০ জনে এ রোগ দেখা যায়। ব্রেইন সেরেব্রাল কর্টেক্সের ক্ষয়জনিত কারণে এ রোগ হয়ে থাকে। তাই একে ডেজেনারেটিভ বা ব্রেইন ক্ষয়জনিত রোগ বলে। সচরাচর এই রোগ ব্যক্তিত্বের সমস্যা এবং স্মৃতিশক্তি লোপ হিসাবে প্রকাশ পায়। রোগীর বিভিন্ন ধরনের ব্যবহারিক ও মনস্তাত্ত্বিক উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন- মাত্রাতিরিক্ত উত্তেজনা, চিৎকার করা, ভবঘুরের মতো ঘুরে বেড়ানো, ভাবলেশহীন, অস্বাভাবিক যৌন আচরণ ও ঘুমের ব্যাঘাত। মূল কারণের মধ্যে আলজাইমার্স ডিজিজ ও মস্তিষ্কের ব্যাপক/ বিস্তৃত রক্তনালির জমাটবদ্ধতাজনিত রোগ দায়ী।  এ ছাড়াও আরও অনেক কারণে এ রোগ হয়ে থাকে। যেমন- পিকস ডিজিজ, পারকিনসন্স ডিজিজ ইত্যাদি।

রিস্ক ফ্যাক্টর : নিম্নলিখিত রিস্ক ফ্যাক্টরগুলো ডিমেন্সিয়া রোগের ক্ষেত্রে দায়ী—১. বয়স, ২. জিনগত কারণ, ৩. ধূমপান ও অ্যালকোহল, ৪. কোলেস্টেরল, ৫. হোমসিস্টিন

চিকিৎসা : চিকিৎসা দুই ধরনের,  প্রথমত ওষুধবিহীন চিকিৎসা—১. স্নায়বিক উত্তেজনাকর চিকিৎসা-মিউজিক থেরাপি, আলো ও ম্যাসেজ থেরাপি, অ্যারমা থেরাপি, হোয়াট থেরাপি। ২. ব্যবহারিক ব্যবস্থাপনা-উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ, পজিটিভ প্রতিক্রিয়া, ৩. সামাজিক মেলামেশা-পরিচিতজনের সঙ্গে কথাবার্তা, ৪. পরিবেশের পরিমার্জন। এছাড়া দ্বিতীয়ত. ওষুধ চিকিৎসা। 

লেখক : রেজিস্ট্রার, মানসিক রোগ বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও হাসপাতাল, ঢাকা।

সর্বশেষ খবর