আঁচিল রোগটির মূল কারণ ভাইরাস। আঁচিল হলে অনেকে কড়া ভেবে কাটতে শুরু করেন। ফলে ভাইরাস চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। নতুন আঁচিল দেখা দেওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। কখনো কাটা অংশে জীবাণু সংক্রমণ হয়ে সেপটিকও হয়ে যেতে পারে। কাজেই রোগীর আঁচিল ও কড়ার মধ্যে পার্থক্যটা বুঝে নেওয়া জরুরি। কড়ার ওপর আঙুল রেখে চাপ দিলে খুব ব্যথা লাগবে। কিন্তু আঁচিল হলে এতে চাপ দিলে বিশেষ ব্যথা লাগে না। বেশি ব্যথা লাগে দুই পাশ থেকে চেপে ধরলে।
অনেকে আঁচিলের গোড়া শক্ত করে চুল দিয়ে বেঁধে রাখেন, যাতে আঁচিলের মধ্যে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়ে আঁচিল খসে পড়ে যায়। এমন করা মোটেও ঠিক নয়। চুন বা কস্টিক সোডাও লাগান অনেকে। এ কারণে সেপটিক হয়ে অবস্থা ঘোলাটে হয়ে যেতে পারে। আঁচিল খুঁটবেন না বা বেশি ঘষাঘষি করবেন না। ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে।
চিকিৎসা হিসেবে স্যালিসাইটিক অ্যাসিড বা ল্যাকটিক অ্যাসিড মেশানো দ্রবণ আঁচিলের ওপর লাগানো যেতে পারে। এতে না কমলে ইলেকট্রোক্টারি বা ক্রায়োক্টারি করে তাকে নির্মূল করা হয়। যৌনাঙ্গের আঁচিল থেকে যৌন সংক্রমণের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং খুব দ্রুত চিকিৎসা না নিলে পরবর্তীকালে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।ডা. দিদারুল আহসান
চর্ম ও অ্যালার্জি রোগ বিশেষজ্ঞ
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আল-রাজী হাসপাতাল, ফার্মগেট, ঢাকা।