শনিবার, ২৯ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

কিডনি ফেইলিউর রোগীর বিষণ্নতা

কিডনি ফেইলিউর রোগীর বিষণ্নতা

যে কোনো দীর্ঘমেয়াদি রোগের সঙ্গে বিষণ্নতা জড়িত থাকে। কিডনি ফেইলিউর বা সিকেডি রোগীরা মানসিক বিষণ্নতা এবং অবসাদে ভোগেন। এর পাশাপাশি যদি রোগীকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হয় তাহলে পরিবারকে হতে হয় আর্থিকভাবে সংকটের মুখোমুখি। সব কিছু মিলিয়ে পরিবার চরম হতাশা এবং দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। কিডনি ফেইলিউর বা সিকেডি রোগীরা সাধারণত বয়স্ক হন। মানুষের বয়স যত বাড়ে বিষণ্নতাও তার নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়ায়। এসব রোগীর সাধারণত ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগও থাকে। সব কিছু মিলিয়ে বিষণ্নতার মাত্রা যায় বেড়ে। তবে ইদানীং কম বয়সীরাও এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। রোগীর বয়স কম হলে তারা বয়স্কদের তুলনায় রোগের বিরুদ্ধে ভালো যুদ্ধ করতে পারে। এসব রোগীর সাধারণত সপ্তাহে ২-৩ বার ডায়ালাইসিস করতে হয়। তাই যারা আর্থিকভাবে সক্ষম তারা এ ব্যয়বহুল চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারেন। ডায়ালাইসিস নিয়মিত চালিয়ে যেতে পারলে রোগীরা শারীরিকভাবে ভালো এবং দুশ্চিন্তামুক্ত থাকেন। এ রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে বিষণ্নতা ততটা তীব্র থাকে না। কিন্তু রোগ দীর্ঘায়িত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিষণ্নতার মাত্রাও বাড়তে থাকে। এ বিষণ্নতায় আপনাকে তখনি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে যখন :- ১. যে ঘটনায় সবাই খুশি হয়, কিন্তু আপনি শুধু বিষণ্নই থাকেন। ২. অল্পতেই হতাশ এবং বিরক্ত হয়ে যান। ৩. সব সময় দুর্বলতা অনুভব করেন। ৪. স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি অথবা কম সময় ঘুমান। ৫. যারা খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠেন না কিন্তু এখন একদম ভোরে ঘুম ভেঙে যায় পরে আর ঘুম আসে না। ৬. খাবারে অনীহা। ৭. সব সময় মৃত্যুর চিন্তা করে। সিকেডি রোগীর এ বিষণ্নতার চিকিৎসার জন্য ওষুধ এবং সাইকোথেরাপি দেওয়া প্রয়োজন।

ডা. ক্যাপ্টেন (অব.) যুবায়ের মাহমুদ

এসআইবিএল ফাউন্ডেশন হসপিটাল, গ্রিনরোড, ঢাকা।

সর্বশেষ খবর