শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
প্রেসক্রিপশন

শিশুর পায়ে ব্যথা হলেই বাতজ্বর নয়

বাতজ্বরকে ইংরেজিতে বলে রিউমেটিক ফিভার। এটা বাচ্চাদের একটি প্রদাহজনিত রোগ। গলায় স্ট্রেপটোকক্কাস নামের অণুজীবের সংক্রমণের পর তার বিরুদ্ধে শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় তা আবার হৃৎপিণ্ড, মস্তিষ্ক, পিঠ, চামড়া ইত্যাদি স্থানের টিস্যুকে আক্রমণ করে প্রদাহজনিত রোগের সৃষ্টি করে। এটা সাধারণত পাঁচ থেকে ১৫ বছর বয়সের বাচ্চাদের বেশি হয়। স্কুলের ছাত্রছাত্রী দলবদ্ধ হয়ে থাকা, কিংবা ঘনবসতিপূর্ণ জায়গায় বসবাস করলে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। তবে স্ট্রেপটোকক্কাস দিয়ে গলাব্যথা জাতীয় রোগ হওয়ার ৭/৯ দিনের মধ্যে অ্যান্টি বায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা শুরু করলে বাতজ্বর হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। বাতজ্বর হলে বুঝবেন কী করে? এ বাতজ্বর মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড, পিঠ, চামড়া ইত্যাদি অনেক স্থানকে আক্রমণ করে। কোনো একক লক্ষণ কিংবা পরীক্ষা দিয়ে ডাক্তাররা এটা নিশ্চিতভাবে নির্ণয় করতে পারেন না। তাই অনেক গবেষণার পর একজন বিজ্ঞানী এটা নির্ণয়ের যে বৈশিষ্ট্য ঠিক করে দিয়েছেন তা অনুসারে সেটা জোনস নির্ণায়ক এবং কিছু পরিবর্তন হয়ে বর্তমানে পরিবর্তিত জোনস মানদণ্ড নামে চিকিৎসকদের জন্য অবশ্য অনুকরণীয় হয়ে আছে। এ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে তিনি পাঁচটি মুখ্য এবং কিছু গৌণ বৈশিষ্ট্য রেখেছেন। সেই সঙ্গে থাকতে হবে স্ট্রেপটোকক্কাস সংক্রমণের প্রমাণ। মুখ্য বৈশিষ্ট্যের যে কোনো দুটি অথবা একটি মুখ্যর সঙ্গে দুটি গৌণ বৈশিষ্ট্য এবং সম্প্রতি স্ট্রেপটো কক্কাস সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে বাতজ্বর হিসেবে ধরতে হবে, অন্যথায় নয়।

ডা. এম ইয়াছিন আলী

চেয়ারম্যান ও সিইও, ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল,

ধানমণ্ডি, ঢাকা।

সর্বশেষ খবর