সোমবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

জেনে রাখা ভালো

নাক, কান ও গলার যে কোনো একটি আক্রান্ত হলে সমস্ত শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। নাকের পলিপাস এক বা উভয় নাকের ভিতর হতে পারে। প্রথমে এটা দেখতে মটরশুঁটির মতো মনে হয়। আস্তে আস্তে বড় হয়ে নাসিকার ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়। অনেক সময় ন্যাজাল পলিপাস থেকে রক্ত বাইর হতে দেখা যায়। নাকের পলিপাস দেখতে আঙ্গুরের মতো। নাসিকার্বুদ নাসা রন্দ্রের শৈষ্মিক ঝিল্লি থেকে উদ্ভব হয়। এ রোগ লক্ষণে নাসারন্দ্রের অস্বাভাবিক পরিলক্ষিত হয়। নাসিকা প্রদাহ বৃদ্ধির কারণে হতে পারে। নাসিকার্বুদ মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের অধিক হতে দেখা যায়। অনেক সময় বংশানুক্রমিকও হতে পারে। নাসাবুর্দ প্রায় সময় নরম, নীল বর্ণ, মসৃণ শ্বেতময় ও পুঁজময় ক্ষত হতে দেখা যায়। নাকের ছিদ্র বন্ধ হলে মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নিতে হয়। রক্তে সিরাম আইজিই-এর পরিমাণ বেড়ে গেলে ঠাণ্ডা, সর্দি, হাঁচি-কাশি ও নাক দিয়ে টপ টপ করে পানি পড়তে পারে। নাকের ভিতরের শৈষ্মিক ঝিল্লিগুলোতে অ্যালারজিক প্রদাহ সৃষ্টি হয় এবং ঝিল্লি থেকে আস্তে আস্তে এক ধরনের মাংস পিণ্ডের আবির্ভাব হয়। যা দেখতে আঙ্গুরের মতো, এ ধরনের সমস্যাকে নাকের পলিপাস বলে। আবহাওয়ার পরিবর্তন হলেই সমস্যা বেশি দেখা দেয়, বার বার হাঁচি, নাক দিয়ে টপ টপ করে পানি ঝরে, নাক বন্ধ থাকে, নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। অনেক সময় মাথাব্যথা হয়, নাক চুলকায়, নাকে ব্যথা ও স্মৃতিশক্তি কমে যায় এবং মুখ হাঁ করে নিঃশ্বাস নিতে হয়, ঘুমের কষ্ট হয়। পলিপাস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর রোগ নির্ণয় করে উপযুক্ত লক্ষণ ও সমস্যা সংগ্রহ করে চিকিৎসা দিলে অপারেশন ছাড়াই পলিপাসের যন্ত্রণা থেকে অতি সহজে মুক্তি পাওয়া যাবে।

— ডা. এস এম আবদুল আজিজ

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর