বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
হেলথ কর্নার

সায়াটিকার উপসর্গ

অল্প অল্প কোমর ব্যথা থেকেই তীব্র সায়াটিকার উৎপত্তি।

কোমর ব্যথা পায়ের দিকে চলে গেলে তাকে সায়াটিকা বলে। কোমরের হাড় ক্ষয় বা চাকতি সরে যাওয়ার (পিএলআইডি) জটিলতা থেকে সাধারণত সায়াটিকা হয়। অর্থাৎ সায়াটিক স্নায়ুর গোড়াগুলো দীর্ঘদিন চাপে পড়ে থাকলে এই বৃহৎ স্নায়ুটিতে যে প্রদাহ সৃষ্টি হয় সেটাই সায়াটিকা। এই রোগে রোগী মাঝারি থেকে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন। দাঁড়িয়ে থাকলে বা হাঁটলে ব্যথা তীব্রতর হয়। অনেকে শুয়েও থাকতে পারেন না। আরাম পাওয়ার জন্য রোগী এপাশ ওপাশ ছটফট করতে থাকেন কিন্তু কোনো পজিশনেই আরাম বোধ করেন না। রোগী যদি আগে থেকেই ডায়াবেটিস আক্রান্ত হয়ে থাকেন তবে কষ্ট আরও বেড়ে যায়। ব্যথা ঘুম কেড়ে নেয়। ব্যথার ওষুধও কাজ করে না। অনেকে কোমরে কোনো ব্যথাই অনুভব করেন না, ব্যথা নিতম্ব থেকে পায়ের গোড়ালি অবধি চলে যায়। অনেকে বলেন পা চাবাচ্ছে বা ঝিঁ ঝিঁ ধরে আছে। অনেকে পায়ের গোড়ালি, পাতা বা আঙ্গুলে বোধ পান না বা অবশ হয়েছে মনে করেন। পায়ে স্যান্ডেল ধরে রাখতে পারছেন না বা পা মেঝেতে আছে কিনা বুঝতে পারছেন না— এমনও অভিযোগ পাওয়া যায় রোগীদের কাছ থেকে। এ ধরনের রোগীকে আইপিএম বা সমন্বিত চিকিৎসা করতে হয়। পূর্ণ বিশ্রাম এই রোগের প্রধান চিকিৎসা। প্রয়োজন মতো দিনে তিন চারবার ইলেক্ট্রোথেরাপি প্রয়োগ করা যেতে পারে। ফলে রোগী তীব্র ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন। সাবধানতার সঙ্গে ব্যথার ওষুধ প্রয়োগ করা উচিত, কারণ ব্যথার ওষুধ পাকস্থলীর প্রদাহ, ডায়াবেটিস রোগী বা কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এক্ষেত্রে সায়াটিক নার্ভ স্ট্রেচিং, থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই দ্রুত সায়াটিকার ব্যথা কমাতে পারে। মনে রাখতে হবে শীতের সময় সায়াটিকার ব্যথা বাড়তে পারে। তাই এ সময় বাত ও ব্যথা রোগ অবহেলা করা ঠিক নয়।

ডা. মোহাম্মদ আলী, পরিচালক, এইচপিআরসি, উত্তরা, ঢাকা।

ফোন : ০১৭৩২৭৬২৩৩৩

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর