বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
প্রেসক্রিপশন

স্ট্রোক পরবর্তী সাবধানতা

স্ট্রোকের পরে সহজে এবং নিরাপদে চলাফেরা করার বিষয়টি স্বাভাবিক নয়। জীবনের অনেক ক্ষেত্রে স্ট্রোকের প্রভাব থাকে এবং নিরাপদ জীবনযাপনের জন্য রূপান্তর কিংবা উপযুক্ত পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়ে। উদাহরণস্বরূপ ঘরে, টয়লেটে পড়ে যাওয়া এবং দুর্ঘটনা এড়াতে বাড়ির পরিবেশ স্ট্রোক রোগীর জন্য উপযোগী করে পরিবর্তন করতে হয়। রোগীর সামর্থ্য, সক্ষমতা, বিচার-বিবেচনা এবং সমর্থনের ওপর নির্ভর করে জীবনকে উপযোগী করে তুলতে হয়। নিরাপত্তা ও সাবধানতা অবলম্বন করলে প্রাত্যহিক জীবনের পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণ ও স্বাধীনতা বজায় রাখা যায়। স্ট্রোক একজন মানুষকে বিভিন্নভাবে আক্রান্ত করে। স্ট্রোকের ধরন, ব্রেনে ইনজুরি লেভেল এবং রোগীর সার্বিক স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করে রোগীর উন্নতির লক্ষণ। দুর্বলতা, প্যারালাইসিস, ভারসাম্যহীনতা ও সমন্বয়হীনতা, ব্যথা, স্মৃতিজনিত বা চিন্তাগত সমস্যা, ক্লান্তি এসব সমস্যা একজন মানুষের গৃহ জীবনকে পরিবর্তন করে।

নিরাপদ থাকতে : স্ট্রোক রোগী এবং সেবাশু শ্রূষাকারীর জন্য অকুপেশনাল থেরাপিস্ট দৈনিক কাজ সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্থাপনা, বাড়ির পরিবেশ পরিবর্তন ও উপযোগী করে নিরাপদ পরিবেশ অনেকটা নিশ্চিত করেন। যেমন :

নিরাপদ জীবনযাপন : ব্যায়াম ও কাজের মাধ্যমে মাংসপেশির সঞ্চালন এবং ভারসাম্য ঠিক রাখা। * সমতল এবং আঁটসাঁট জুতা পরিধান * ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার ও সাপ্লিমেনট গ্রহণ করা যদি  শক্তি বর্ধনের প্রয়োজন হয়।

বাড়ির নিরাপত্তা : * রান্নাঘর, শোবার ঘর, গোসলখানার চলাচলের পথ পরিষ্কার এবং শুকনা রাখা। * পিচ্ছিল মেঝে পরিহার করা, প্রয়োজনে মোজা ব্যবহার করা। * সিঁড়িতে ওঠা-নামার ক্ষেত্রে হ্যান্ডরেইল বা হাতল ব্যবহার করা।

 

শ ম ফারহান বিন হোসেন

 ক্লিনিক্যাল অকুপেশনাল থেরাপিস্ট, সিআরপি-মিরপুর।

সর্বশেষ খবর