শনিবার, ৬ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা
প্রেসক্রিপশন

রোগের নাম স্পন্ডাইলোসিস

পঁয়ত্রিশোর্ধ নারী-পুরুষের ঘাড় ব্যথার অন্যতম প্রধান কারণ স্পন্ডাইলোসিস যাকে সহজ ভাষায় ঘাড়ের হাড়ের ক্ষয় বা হাড় বেড়ে যাওয়া রোগ বলে। যদিও ঘাড় ব্যথাই সারভাইক্যাল স্পন্ডাইলোসিসের প্রধান উপসর্গ তথাপি এ রোগে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা বা বুক ব্যথার মতো ব্যতিক্রমী উপসর্গও থাকতে পারে। সারভাইক্যাল স্পন্ডাইলোসিসের কারণে অনেক সময় ঘাড়ে ব্যথাই অনুভূত হয় না। রোগী বলেন, মাথা ঘুরছে অথবা বুকে ব্যথা হচ্ছে।

লক্ষণ : ব্যথা ঘাড় থেকে

হাতে চলে যায়। অনেকের

হাতে ঝিঁঝি ধরে। পিঠে বুকে ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে। ঘাড় ডানে-বামে বা সামনে পেছনে ঝোঁকাতে কষ্ট হয়। অনেকে উপরের দিকে তাকাতে পারেন না। অনেক রোগীই বলে থাকেন তাদের কোনো কোনো আঙ্গুল অবশ লাগছে বা ঠিক বোধ পাচ্ছেন না। অনেকেই

সকালে ঘুম থেকে ওঠে অনুভব করেন তার একটি হাত ঝিঝি লেগে আছে অথবা ঝিঁঝি লাগার কারণে মধ্যরাতে ঘুম ভেঙে গেছে। এসব সাধারণ (কমন) উপসর্গ ছাড়াও অনেক রোগীই মাথা ঘোরা মাথা ব্যথা বা বুকে ব্যথার কথা অভিযোগ করে থাকেন। এমনও রোগী আছে যারা বুক ব্যথার সঠিক কারণ নির্ণয় করতে না পেরে নিজেকে হৃদরোগী ভাবেন। অথচ অনেক ক্ষেত্রেই একটি এক্স-রে করে দেখা যায় তিনি ঘাড়ের হাড়

ক্ষয় রোগে ভুগছেন।

চিকিৎসা : অন্যতম চিকিৎসা আইপিএম। কারণ নির্ণয় হওয়া মাত্রই চিকিৎসা শুরু করতে হবে। ব্যথা বা অন্যান্য উপসর্গ সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যাওয়ার

আগ পর্যন্ত আইপিএম চালিয়ে যেতে হবে। তাই প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা উত্তম।

ডা. মোহাম্মদ আলী

চিফ কনসালট্যান্ট, হাসনা হেনা পেইন অ্যান্ড ফিজিওথেরাপি রিসার্চ সেন্টার, উত্তরা, ঢাকা।

সর্বশেষ খবর