মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

কৃত্রিম চোখ কি এবং কেন

কৃত্রিম চোখ কি এবং কেন

আমরা অনেকেই চোখের মূল্য বুঝতে পারি না। বুঝতে পারি তখন; যখন এটি হারাই। জন্মগত বা দুর্ঘটনাজনিত কারণে যাদের একটি চোখ নেই বা তুলে ফেলতে হয়েছে তাদের জন্যই মুখের স্বাভাবিক গড়ন বজায় রাখতে প্রতিস্থাপন করা হয় কৃত্রিম চোখ। অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে অ্যাক্রিলিক পলিমার ফাইবার দিয়ে চোখ বানানো হচ্ছে। কৃত্রিম এই চোখ লাগানোর পরও মুখের গড়নের কিন্তু কোনো অস্বাভাবিকতা আসবে না। তাছাড়া অন্য ভালো চোখের মতোই এই কৃত্রিম চোখ ওপর-নিচ, ডানে-বাঁয়ে ঘোরানো যায়। ফলে আপনি কিন্তু আসল নকলের তফাৎ ধরতে পারবেন না। প্রচলিত চিকিৎসা সত্ত্বেও যাদের একটি চোখ সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে গেছে বা দুর্ঘটনাজনিত কারণে চোখটি তুলে ফেলতে হয়েছে তাদের ক্ষেত্রেই প্রয়োজন এই কৃত্রিম চোখ প্রতিস্থাপনের। আবার অনেক সময় জন্মগত কারণেও এরকম হয়ে থাকে। অকুলোপ্লাস্টি সার্জনরা চোখ তুলে ফেলার পর বল ইমপ্লান্ট করেন যাতে মুভমেন্ট ভালো হয়। ছয় সপ্তাহের জন্য কনফরমার পরিয়ে দেন যাতে চোখ বুঝে না যায়, তারপর আরটিফিশিয়াল আই ফিটিংয়ের জন্য রেফার করে থাকেন। এই কৃত্রিম চোখ প্রস্তুত করতে প্রধানত দু’দিন ট্রায়ালের প্রয়োজন হয়।  যাদের চোখ তোলা হয়নি অর্থাৎ থাইসিকাল আই তাদের ক্ষেত্রেও কাস্টমমেড আরটিফিসিয়াল আই লাগানো যায়। যাদের ক্যান্সার হয়ে চোখ নষ্ট হয়ে গেছে তাদের ক্ষেত্রে লাগানো হয় সিলিকন রাবার প্রসথেসিস বা স্পেক্টেকল প্রসথেসিস। বর্তমানে পিএমএমএ মেটেরিয়াল দিয়ে চোখ বানিয়ে স্টেরেলাইজ করে এই চোখ বসানো হয়, যা অত্যন্ত মেডিকেটেড এবং ইনফেকশন হওয়ার চান্স থাকে না। ডিসচার্জ সম্ভবত কম হয়।

কেউ চাইলে রোজ খোলা-পরা করতে পারেন, আবার কেউ চাইলে রোজ না খুলে একটানা অনেক দিন পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারেন।

শুভাশিষ চৌধুরী, অপটোমেট্রিস্ট অকিউলারিস্ট ও স্প্পেশালিস্ট।

ফোন : ০১৭৮৯৫৫৯৯৮৮।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর