শনিবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

পাইলসের প্রাথমিক উপসর্গ ও চিকিৎসা

পাইলসের প্রাথমিক উপসর্গ ও চিকিৎসা

পাইলস হলে বা পায়ুপথের কোনো রোগ হলে অনেক রোগী সহজে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যেতে চান না। কারণ তারা মনে করেন ডাক্তারের কাছে গেলেই বুঝি অপারেশন করে দেবেন। পাইলস হলেই অপারেশন করতে হবে কথাটি সঠিক নয়। আর একবার করলে বার বার করতে হবে সেটি পুরোপুরি মিথ্যা। পাইলসকে কয়েক স্তরে ভাগ করা যায়। প্রাথমিক পর্যায়ের পাইলসে শুধু রক্ত যায়। পরবর্তীতে আস্তে আস্তে একটু একটু করে মাংসপিণ্ড বের হয় এবং চলে যায়, তৃতীয় পর্যায়ে মাংসপিণ্ডটি যেতে চায় না, ঠেলে ঢুকিয়ে দিতে হয়, আর চতুর্থ পর্যায়ে সেটি সবসময় বাইরেই থাকে। প্রথম দুই পর্যায়ে অর্থাৎ যখন শুধু রক্ত যায় আর মাংসপিণ্ড বেরিয়ে চলে যায়, এ সময়ে সাধারণত অপারেশনের প্রয়োজন পড়ে না। অপারেশন ছাড়া চিকিৎসার কয়েকটি পদ্ধতি আছে। এর মধ্যে রিং লাইগেশন কার্যকর এবং জনপ্রিয়। পাইলসের গুচ্ছসূমহের গোড়ায় একটি আংটির মতো রিং পরিয়ে দেওয়া হয়। রিং পাইলসের গুচ্ছকে চেপে ধরে রাখে এতে এর রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে কয়েক দিন পর পাইলসটি পড়ে যায়। এজন্য হাসপাতালে থাকতে হয় না। আর একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি হচ্ছে ইনজেকশন স্ক্লেরথেরাপি। এই প্রক্রিয়ায় পাইলসের অভ্যন্তরে এক ধরনের ইনজেকশন দেওয়া হয়, ফলে পাইলসটি আস্তে আস্তে শুকিয়ে যায়। এটিও ব্যথামুক্ত এবং এজন্যও রোগীকে হাসপাতালে থাকতে হয় না। আরও কয়েকটি পদ্ধতি আছে, যেমন ইনফ্রারেড কোয়াগুলেশন, লেজার থেরাপি ইত্যাদি। কিন্তু এসবে ফলাফল তেমন সন্তোষজনক না হওয়ায় সেগুলো জনপ্রিয় নয়।

অপারেশন ছাড়াই অধিকাংশ পাইলসের চিকিৎসা সম্ভব, তবে তার জন্য প্রয়োজন সচেতনতা। রোগীদের প্রাথমিক পর্যায়েই চিকিৎসকের কাছে আসতে হবে। কিন্তু  দেখা যায় অধিকাংশ রোগীই চিকিৎসকের কাছে আসেন অনেক দেরিতে। অনেক সময় ১৫/২০ বছর রোগে ভোগার পর। এ সব ক্ষেত্রে আসলেই অপারেশন ছাড়া আর কোনো গত্যন্তর থাকে না।

চিকিৎসকের কাছে গেলেই অপারেশন করে দেবে কথাটা ঠিক নয়, বরং যথাসময়ে চিকিৎসকের কাছে না যাওয়ার কারণেই বাধ্য হয়ে পাইলসের অপারেশন করতে হয়।

অধ্যাপক ডা. এসএমএ এরফান

জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল, ধানমণ্ডি, ঢাকা।

ফোন: ০১৮৬৫৫৫৫৫১১

সর্বশেষ খবর