বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

প্রেসক্রিপশন

রোগ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য আমরা ওষুধ খাই; কিন্তু সেই ওষুধই আবার কখনো কখনো রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, বিশেষ করে চর্মরোগ। এর প্রধান কারণ চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে ওষুধ সেবন করা। অথচ বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় নিজেরাই ওষুধ কিনে সেবন করে থাকি যা মোটেও ঠিক নয়। অসংখ্য রোগ রয়েছে যা ওষুধের কারণে হয়, যার মধ্যে একটি হচ্ছে ফলিয়েটিভ ইরাইথ্রোডার্মা। এই রোগের অন্তত ১১ শতাংশের কারণ হচ্ছে কোনো না কোনো ওষুধ। যে ওষুধগুলোর ব্যবহার থেকে এ রোগ হতে দেখা যায় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সালফার, যা কিন্তু অহরহই ব্যবহার করা হচ্ছে। আরও আছে অ্যালুপুরিনল, ফেনিটমেন, ফেনোবারবিটাল, আইসোনায়েড, আয়োডিন ইত্যাদি। এ রোগের ক্ষেত্রে শরীরজুড়ে আঁশ হতে দেখা যায়, যা ঘষা দিলে ঝরে পড়তে থাকে। শুরুতে লাল লাল দাগ দিয়ে ত্বকে শুরু হলেও ক্রমান্বয়ে তার বিস্তার ঘটতে থাকে ও পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তী সময়ে রোগীর অবস্থা খারাপ হয়। সঠিক চিকিৎসা না হলে তার জীবনে শঙ্কা তৈরি হয়। এমন আরেকটি রোগ হচ্ছে ড্রাগ ইরাপশন। নাম থেকেই বোঝা যায় ড্রাগ বা ওষুধের কারণেই এ রোগটি হয়। এক্ষেত্রে ত্বকের গায়ে র‌্যাশ বা চাকা ওঠে, যা দেখলেই মনে হয় যেন হাম কিংবা অ্যালার্জি উঠেছে। ওষুধের কারণে সাধারণভাবে দুই ধরনের র‌্যাশ হয় যেমন- আর্টিকেরিয়া, যাতে চাকা হয় এবং চুলকানি থাকে। আর এক ধরনের র‌্যাশ হলো : রবিফিলিফর্ম। শেষেরটা বেশি পাওয়া যায় এবং শরীরজুড়ে লাল লাল দাগ অথবা ছোট ছোট দানা বা গোটার আকারে লালচে রঙের হতে দেখা যায়। এ  র‌্যাশ দেখা দেওয়া মাত্র ওষুধ বন্ধ করে দিতে হবে। ওষুধ ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে।

ডা. দিদারুল আহসান

চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ, আলরাজী হাসপাতাল, ঢাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর