সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা
প্রেসক্রিপশন

অহেতুক ভয় একটি মানসিক সমস্যা

চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা আসার সময় নুরুল হক সাহেব তার নাতি আফনানকে সঙ্গে নিয়ে আসছেন, কারণ পথে যদি পড়ে যায় অথবা অসুস্থ হয়ে যায়। সঙ্গে লোক থাকলে সাহস লাগে, তখন চলাফেরা করা যায়। একটি মানুষ কিছুদিন আগেও একা যেখানে খুশি সেখানে যেত পারত, এখন সঙ্গে লোক লাগে। দূরে যাওয়ার ভয়, একা কোথাও যেতে পারে না, যদি কিছু হয়ে যায় এই ভয়ে। অনেককেই পানির বোতল সঙ্গে নিয়ে বের হতে হয়, যদি অসুস্থ হয়ে যায়। শ্বাসপ্রশ্বাসে কষ্ট হয়, বুক ধড়ফড় করে, শরীর কাঁপে, মনে হয় অজ্ঞান হয়ে যাবে। মজার বিষয় হলো রোগীরা ভয় পায় কিন্তু অন্যরা ভয় পায় না। অন্যরা এসব দেখে হাসে ও ন্যাকামি মনে করে। কেউ কেউ মনে করে আলগা দোষ কিনা? এ ধরনের ভয় মনে হয় রোগীরা ইচ্ছা করে আসলে তা নয়। উল্লেখ্য, আমজাদ মিয়া এগারো ফোবিযা নামক অসুখে ভুগছেন। কম বেশি ভয় অনেকেরই হয় কিন্তু এই ভয়ের কারণে যখন কোনো ব্যক্তির কাজের ব্যাঘাত ঘটে, চলাফেরা সীমাবদ্ধ হয়ে যায় এবং অস্থিরতা তৈরি হয় তখনই চিকিত্সার প্রয়োজন হয়।  পুরুষ-মহিলা সবারই হয় তবে মহিলাদের দুই-তিন গুণ বেশি।

লক্ষণ : রোগীর মধ্যে অহেতুক ভয়ভীতি, বুক ধড়ফড়, অস্থির, অশান্তি লাগা। খারাপ কিছু শুনলে খুব বেশি নার্ভাস হয়ে যায়, মুখ শুকিয়ে যায়, অস্থির হয়ে পড়ে, মাথায় পানি ঢালতে হয়। একা দূরে কোথাও যেতে পারে না। কেউ কেউ লাশ, দুর্ঘটনা দেখতে পারে না বলে টেলিভিশন বন্ধ রাখে। কেউ কেউ ভয়ের কারণে ঘর থেকে বের হয় না।

কি কি কারণে হয় : দীর্ঘদিন প্যানিক ডিজওর্ডারে ভুগে থাকলে, দীর্ঘদিন ঘুমের ওষুধ খেয়ে থাকলে শৈশবে কোনো বেদনাদায়ক ঘটনা বা ভয়ভীতি আত্মীয়ের মধ্যে কারও থাকলে এ রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন

আনোয়ার খান মডার্ন

হাসপাতাল, ধানমণ্ডি, ঢাকা।

সর্বশেষ খবর