শিরোনাম
সোমবার, ৫ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা
প্রেসক্রিপশন

অ্যালার্জি থেকে পরিত্রাণের উপায়

আমাদের শরীরের  ইমিউন সিস্টেম এক ধরনের প্রোটিন তৈরি করে যাকে অ্যান্টিবডি বলে। শরীরে যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত জীবাণু প্রবেশ করে রোগ বিস্তার না করতে পারে অ্যান্টিবডি সে ধরনের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হলে শরীরে অ্যালার্জেন নামক এক ধরনের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়,   যার কারণে অ্যালার্জির বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়।

অ্যালার্জির কারণসমূহ : একজনের দেহ অন্যজনের দেহ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হওয়ার কারণে অ্যালার্জির কারণও আলাদা। তাই সবার ক্ষেত্রে সব কারণ কার্যকর হয় না। সাধারণ কারণসমূহের মধ্যে ধুলাবালি, পারফিউম, গরুর মাংস, চিংড়ি মাছ, পুঁইশাক, কচু, কিছু ব্যথার এবং অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ, অতিরিক্ত ঠাণ্ডা অথবা গরম আবহাওয়া অন্যতম। এমনকি কীটপতঙ্গের দংশনের কারণেও অ্যালার্জি হতে পারে।  

অ্যালার্জির উপসর্গ : হাঁচি, নাক, কান ও মুখের উপরিভাগে চুলকানি, নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ হওয়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখ লাল হওয়া, চোখ ফুলে যাওয়া, মুখে প্রদাহ,  কাশি, ঘন ঘন শ্বাসের সঙ্গে বাঁশির মতো শব্দ হওয়া বা বুকে চাপ লাগা, ঠোঁট, জিহ্বা, মুখমণ্ডল ও গলা ফুলে যাওয়া, ত্বকে লালচে দাগ বা ফোলা ফোলা হওয়া, ভীষণ চুলকানি থাকা, ত্বকে ছোট ফোঁসকা পড়া, বাচ্চাদের মুখে লালছে দাগ। 

চিকিৎসা : চিকিৎসা শুরু করার আগে কী কারণে অ্যালার্জি হচ্ছে তার কারণ খোঁজা। সঠিক কারণ পাওয়া গেলে সে কারণ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারলে অ্যালার্জি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সহজ। ওষুধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। কারণ ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। অ্যান্টিহিস্টামিন, এইচ টু ব্লকার, মন্টিলুকাসট, কর্টিকোস্টেরয়েড, ইনহেলার, শিরায় স্যালাইন, ক্যালামিনা লোশন, নাকে ড্রপ, চোখে ড্রপ, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যালার্জি ভ্যাকসিন বা ইমুনোথেরাপি ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে। 

ডা. তুষার সিকদার

সহকারী অধ্যাপক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ফোন : ০১৮১৬৮৫৭৪৬২।

সর্বশেষ খবর