বুধবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা
জেনে রাখা ভালো

শিশুদের প্রতিষেধক টিকা

১৯৭৪ সালের মে মাসে WHO (এক্সপান্ডেড প্রোগ্রাম অন ইমিউনাইজেশন) EPI-এর শুরু করে। যার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বব্যাপী সর্বস্তরের সব শিশুকে রোগ প্রতিরোধকমূলক প্রতিষেধক টিকা প্রদান করা। অতঃপর ১০ বছর পর ১৯৮৪ সালে WHO এক্সপান্ডে প্রোগ্রাম অন ইমিউনাইজেশন EPI-এর প্রতিষেধক টিকা ব্যবহার একটি স্ট্যান্ডার্ড শিডিউল চালু করে।

ঊচও-এর বর্তমান উদ্দেশ্য: প্রতিটি জেলাতে এক বছরের কম বয়সের শিশুদের সম্পূর্ণরূপে প্রতিষেধক ব্যবস্থার নিশ্চিত করা। এছাড়া বিশ্বব্যাপী পলিওমাইলাইটিস নির্মূল করা। ২০০৫ সালের মধ্যে মা ও শিশুর ‘টিটেনাসের’ হার জন্ম প্রতি হাজারে একজনের চেয়েও কম হারে নিয়ে আসা। ১৯৯৯ সালের মধ্যে ‘মিসেলস’ জনিত মৃত্যুর হার আগের চেয়ে অর্ধেকে নিয়ে আসা। শিশুর জন্য নতুন প্রতিষেধক এবং প্রতিরোধক ব্যবস্থার সম্পূর্ণরূপে বিস্তার করা।

বাংলাদেশের ২০১৭ সালের EPI-শিডিউল : (১) টিকা দেওয়ার বয়স জন্মের পরপর, টিকার নাম-বিসিজি, রোগের নাম শিশুদের যক্ষ্মা। (২)  টিকা দেওয়ার সময় ৬, ১০, ১৪, ১৮ সপ্তাহ : টিকার নাম পেন্টাভ্যলেন্ট (ডিপিটি, হেপাটাইটিস-বি, হিব, অপিভি, পিসিভি)। রোগের নাম, ডিপথেরিয়া, হুপিংকাশি, ধনুষ্টংকার, হেপাটাইটিস-বি, হিমফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা-বি, পলিওমাইলাইটিস, নিউমোকক্কাল নিউমোনিয়া। (৩) টিকা দেওয়ার বয়স ৯ এবং ১৫ মাস, টিকার নাম এম আর, রোগের নাম হাম ও রুবেলা।

ডা. এম এস মলি

এমবিবিএস, এমফিল (খাদ্য ও পুষ্টি, ডিইউ)

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর