সোমবার, ২৮ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা
প্রেসক্রিপশন

বয়স্ক মহিলাদের হাড় ক্ষয়রোগ

৪০ বছর পার হলে হাড়ের ক্ষয়ের মাত্রা একটু একটু করে বাড়তে থাকে। বিশেষ করে মহিলাদের মেনোপজ বা ঋতুস্রাব বন্ধের পর শরীরে ইস্ট্রোপেন নামক হরমোন কমে যায়। ফলে হাড়ের ক্ষয়ের মাত্রা বেড়ে যায়।

হাড় ক্ষয়ের লক্ষণ : যেহেতু বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হাড় ক্ষয় একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, তাই প্রাথমিক পর্যায়ে তেমন কোনো লক্ষণ থাকে না। কিন্তু হাড়ের ভিতরের উপাদান বা ত্বক অধিক পরিমাণ কমে গেলে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়। যেমন— সারা শরীরে ব্যথা অনুভূত হয়। বেশিক্ষণ হাঁটাহাঁটি বা চলাচল করতে কষ্ট হয়। শরীরে ভারসাম্য কমে যায়। ফলে পড়ে গিয়ে হাড় ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। আত্মবিশ্বাস বা মনোবল কমে যায়। এ কারণে মাহিলাদের হিপ ফ্যাকচার বেশি দেখা যায়।

 হাড় ক্ষয় নির্ণয় করবেন কীভাবে: হাড়ের ক্ষয় রোগ সহজেই নির্ণয় করা যায়। চিকিৎসক রোগীর ক্লিনিকান উপসর্গ পর্যবেক্ষণ, রোগীর বয়স, পূর্ববর্তী রোগ ও ওষুধের, হাড়ের এক্স-রে ও বিএসডি (বোন মিনারেল ডেনসিটি) পরীক্ষার মাধ্যমে হাড়ের ঘনত্ব নির্ণয় করা যায়।

করণীয় : সুষম খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করা। যেমন— প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা। যেমন— ননী তোলা দুধ, কম স্নেহজাতীয় দই, কডলিভার অয়েল ইত্যাদি। নিয়মিত শরীর চর্চা। ৫০-ঊর্ধ্ব প্রত্যেক মহিলার হাঁড়ের ঘনত্ব নির্ণয় করতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।

চিকিৎসা: চিকিৎসার মূল উদ্দেশ্য  হাড়কে শক্তিশালী করে তোলা, হাড় ক্ষয়ের হার কমানো সর্বোপরি হাড় ভাঙার ঝুঁকি কমানো। এ চিকিৎসায় বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ব্যবহূত হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য—এলেন্ডানেট সোডিয়াম, রিমোড্রোনেট সোডিয়াম, ইবানড্রেনিক এসিড।

 ডা. এম ইয়াছিন আলী

চেয়ারম্যান, ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল, ঢাকা।

সর্বশেষ খবর