সোমবার, ৬ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা
জেনে রাখা ভালো

টেস্ট টিউব বেবি বা আইভিএফ

টেস্ট টিউব বেবি বা আইভিএফ

আইভিএফ (IVF-In Vitro Fertilization) গর্ভধারণের একটি প্রক্রিয়া যেখানে স্ত্রীর ডিম্বাণুকে স্বামীর শুক্রাণুর সঙ্গে দেহের বাইরে মিলিত করে অতঃপর গর্ভধারণ করানো হয়।

প্রক্রিয়া : এক্ষেত্রে স্ত্রীর ডিম্বাণুকে উপযুক্ত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ওভুলেশন প্রক্রিয়া দ্বারা বের করে আনা হয়, অতঃপর তা স্বামীর শুক্রাণুর সঙ্গে দেহের বাইরে মিলিত করে জাইগোট তৈরি করা হয় একটি ল্যাবরেটরিতে। এ জাইগোটটি ২-৬ দিন এম্রাযো কালচারের মধ্য দিয়ে যায়, অতঃপর তা সেই স্ত্রীর জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করা হয়, একটি সফল গর্ভধারণের জন্য।

যেসব কারণে টেস্ট টিউব বেবি (আইভিএফ) করা হয় স্ত্রীর ক্ষেত্রে: যদি বন্ধ্যত্ব থাকে ফেলোপিয়ান বা ওভারিয়ান টিউবের কোনো সমস্যার জন্য

বা যে বন্ধ্যত্বের কোনো কারণ বের করা সম্ভব হয় না।

স্বামীর ক্ষেত্রে : যদি বন্ধ্যত্ব থাকে স্বামীর শুক্রাণুর পরিমাণ বা গুণগতমানের কারণে। টেস্ট টিউব বেবি (আইভিএফ) এর ক্ষেত্রে লক্ষণীয় বিষয়: ১) এন্ট্রাল ফলিকলের পরিমান: এটি যত বেশি থাকবে টেস্ট টিউবের বেবি (আইভিএফ) ক্ষেত্রে সফলতা তত বেশি। ২) এন্টি মুলারিন হরমোন: এটি যত বেশি টেস্ট টিউব বেবিতে সফলতা তত বেশি। ৩) স্বামীর শুক্রাণুর পরিমাণ বা গুণগতমান ভালো থাকলে আইভিএফের ক্ষেত্রে সফলতা তত বেশি। ৪) জরায়ুর এন্ডোমেট্রিয়াল আবরণ যদি ৭ মিমি এর কম হয় আইভিএফের ক্ষেত্রে সফলতা কমে যায়।

৫) ধূমপান ও মদ্যপানের এবং অতিরক্ত ক্যাফেইনের দরুন আইভিএফের ক্ষেত্রে সফলতা কমে যায়। ৬) অতিরিক্ত স্থূলতাও আইভিএফের ক্ষেত্রে সফলতা কমিয়ে দেয়।

৭) এম্রাযোর গুণগতমান ভালো থাকলে আইভিএফের ক্ষেত্রে সফলতা তত বেশি।

গর্ভধারণের অন্যান্য সব প্রক্রিয়া ব্যর্থ হলে আইভিএফ (IVF) বা টেস্ট টিউব বেবি করা হয়। এটি বন্ধ্যত্বের অন্যান্য

চিকিৎসা থেকে তুলনামূলক ব্যয়বহুল চিকিৎসা।

ডা. এম এস মলি এমবিবিএস, এমফিল (খাদ্য ও পুষ্টি, ডিইউ)

সর্বশেষ খবর