চুল ত্বকেরই একটি রূপান্তরিত অঙ্গ। তাই ত্বককে বাদ দিয়ে চুল বা চুলকে বাদ দিয়ে ত্বক ভাবাই যায় না। আর পরিচর্যার কথা যখন আসে, তখন একটিকে বাদ দিয়ে অন্যটির পরিচর্যার কথা ভাবা যায় না। ত্বক আর চুল সুন্দর আর সজীব রাখতে হলে চুল নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। আর সেক্ষেত্রে নন-মেডিকেটেড শ্যাম্পুই ব্যবহার করতে হবে সপ্তাহে অন্তত একদিন। অযথা মেডিকেটেড শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না।
চুল নিয়মিতভাবে প্রতিদিন আঁচড়াতে হবে। তবে কোনো অবস্থাতেই অতিরিক্ত নয়। আমরা অনেকেই আছি কথায় কথায় পকেট থেকে চিরুনি বের করে চুল আঁচড়াই। এমনও দেখা যায় কোনো প্রয়োজন ছাড়াই মাথায় চিরুনি দিই। এমনকি সরু দাঁতের ঘন চিরুনি ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে চুল ছাড়াও মাথার ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সীমিত পরিমাণ হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে খেয়াল করতে হবে অতিরিক্ত গরম যেন না হয়। তাতে চুল রুক্ষ হয় এবং চুলের ডগা ফেটে যেতে পারে। তেল ব্যবহারে চুল গজায় কথাটি একদমই ভুল। চুল রুক্ষ হলে নারকেল তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে তাও
সপ্তাহে দু-তিন দিনের বেশি নয়। আর যদি মাথায় খুসকি থাকে তাহলে কোনো অবস্থায়সপ্তাহে এক দিনের বেশি তেল দেওয়া উচিত নয়। সম্ভব হলে তেল ব্যবহার একেবারেই বন্ধ করে দিন। ‘চুল উঠা মানেই ভাবনা’ কথাটি ঠিক নয়। দিনে ৫০ থেকে ১০০টি পর্যন্ত চুল পড়া একদম স্বাভাবিক। কাজেই চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিলে অযথা ভাববেন না। প্রয়োজনে অভিজ্ঞ চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। প্রাথমিক অবস্থায় যে কোনো সমস্যার ব্যবস্থা নিলে দ্রুত সমাধান হয়।
ডা. দিদারুল আহসান চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ, আল-রাজি হাসপাতাল, ফার্মগেইট, ঢাকা।