করোনা প্রতিরোধে ঘন ঘন হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুতে বলা হচ্ছে। এতে উপকার লাভের কথাটি সত্য হলেও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রয়েছে অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। তাই এ বিষয়ে আমাদের কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ১. হ্যান্ড স্যানিটাইজারে উঁচু মাত্রায় অ্যালকোহল থাকায় একে ‘Class l flamable liquid substance’ এর দলে ফেলা হয়। অর্থাৎ এটি ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার কমেই আগুন ধরাতে পারে। ২. চুলার আশপাশে, সুইচসহ যেখানে যেখানে বৈদ্যুতিক সংযোগ আছে সেখানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখলে আগুন ধরে যাওয়ার আশংকা আছে।
৩. অসাধু ব্যবসায়ী বা ভীত হয়ে যারা প্রচুর পরিমাণে হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিনেছেন সেগুলো দীর্ঘদিন রোদের স্পর্শে অধিক তাপমাত্রায় বিস্ফোরিত হতে পারে। ৪. হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ‘ভ্যাপার’ নেওয়াও ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া ভ্যাপারে কার্বন ডাই অক্সাইড (co2) বা কার্বন মনোক্সাইড (CO) এর মতো বিষাক্ত গ্যাস সৃষ্টি করতে পারে। ৫. বেশি বেশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার চামড়াকে শুস্ক করে বার্ধক্যজনিত চামড়ার আকৃতি দিতে পারে। এছাড়া হাতে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণে এন্টিবায়োটিককে resistant বা কার্যহীন করতে পারে। ৬. হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বোতলের আকর্ষণীয় আকৃতি, এলকোহলের সুমিষ্ট ঘ্রাণে শিশুরা এটি খেয়ে ফেলতে পারে ফলে মৃত্যুও হতে পারে।
৭. সাধারণ সাবান ২০ সেকেন্ড ধরে ধুয়ে ফেললে ভাইরাসকে নিস্ক্রিয় করা সম্ভব। সাবান সাশ্রয়ীও বটে। তাই অনেকেই সাবান ব্যবহারকে উৎসাহিত করেন।লেখক : ক্লাসিফাইড স্পেশা-লিস্ট ফার্মাকোলোজি, আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ।