করোনার আরেক ঢেউয়ের মধ্যেই উদযাপিত হলো ঈদুল আজহা। বর্তমানে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আর মৃত্যু। হাসপাতালে শয্যা খালি নেই। এখন কেবল করোনা নয়, প্রতিদিন বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তাই করোনাকালে ডেঙ্গুকেও এখন আমাদের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। অক্টোবর মাস পর্যন্ত, বিশেষ করে বর্ষাকালে থাকে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। আর শীতের আগমনের আগ পর্যন্ত চলতেই থাকবে। কিন্তু এবছরের শুরু থেকেই বেড়ে চলেছে ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ, কারণ মাঝেমাঝে হালকা বৃষ্টিতে জমে থাকা পানি ডেঙ্গুবাহিত এডিস মশার প্রধান প্রজননক্ষেত্র। ফলে মশার বংশবৃদ্ধির সাথে তাল মিলিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। ডেঙ্গু প্রধানত দুই ধরনের, ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু ফিভার এবং ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার। ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গুজ্বরে সাধারণত তীব্র জ্বর ও সেই সাথে সারা শরীরে প্রচ- ব্যথা হয়। জ্বর ১০৫ ফারেনহাইট পর্যন্ত হতে পারে। শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি, মাংসপেশি, মাথাব্যথা ও চোখের পিছনে তীব্র ব্যথা হয়। এমনকি ব্যথা এত তীব্র হয়, মনে হয় হাড় বুঝি ভেঙে যাচ্ছে।
তাই এ জ্বরের আরেক নাম “ব্রেক বোন ফিভার”। শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যথার তীব্রতায় শিশুকে স্পর্শ করলেই কেঁদে ওঠে, খিটখিটে মেজাজের হয়। জ্বর হওয়ার ৪ বা ৫ দিনের সময় সারা শরীরজুড়ে লালচে দানা দেখা যায়, যাকে বলা হয় স্কিন র্যাশ, অনেকটা এলার্জি বা ঘামাচির মতো। একসঙ্গে বমিবমি ভাব, এমনকি বমি হতে পারে। রোগী অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ করে এবং রুচি কমে যায়। সাধারণত ৪ বা ৫ দিন জ্বর থাকার পর তা এমনিতেই চলে যায় এবং কোনো কোনো রোগীর ২ বা ৩ দিন পর আবার জ্বর আসে। একে বাইফেজিক ফিভার বলে। তাই সচেতন হোন।
সূত্র : হেলথ জার্নাল।