রোগ প্রতিরোধ এমন একটি বিষয় যা রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে শরীরকে লড়াই করতে সহায়তা করে। সুতরাং জন্ম থেকেই সবার শরীরেই থাকে এ ব্যবস্থা। তবে কারও ক্ষেত্রে থাকে কম আর কারও ক্ষেত্রে বেশি। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কেমন সে বিষয়ে জানা দরকার যাতে কম থাকলে তা বৃদ্ধি করতে পারেন নিজের থেকেই। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সাদা রক্তকণিকা, লিম্ফ নোড এবং অ্যান্টিবডি দ্বারা গঠিত হয়ে থাকে এবং শরীরকে বাহ্যিক সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। কিছু লক্ষণ আছে যেগুলো দেখে বুঝবেন যে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে।
ঘন ঘন সংক্রমণ : প্রাপ্তবয়স্করা সাধারণত বছরে দুই থেকে তিনবার সাধারণ সর্দিতে ভুগতে পারেন। তবে যাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল তাদের প্রায় বছরজুড়ে দীর্ঘস্থায়ী কাশি হয়।
দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা : বিজ্ঞানের মতে, প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা হজমের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তাই সঠিক খাবার না খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি, গ্যাস, ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে ঘন ঘন।পেশিতে ব্যথা : শরীরের ভিতরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী না হলে আপনি রক্তনালিতে প্রদাহ, ভাসকুলাইটিসের সমস্যায় ভুগতে পারেন। এতে করে পেশিতে ব্যথা হবে।
অবসাদ : রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হলেও অনেকের খুব শরীর দুর্বল লাগে সারাদিন। বলা যায় যে দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্য আপনার সারাদিন ঘুমভাব বজায় থাকে। এতে করে শরীর ক্লান্ত হবে ধীরে ধীরে মনমেজাজ ভালো থাকবে না।
দুশ্চিন্তা : অনেকে খুব সাধারণ ব্যাপারেই সারাক্ষণ দুশ্চিন্তা করেন। যদি যে কোনো বিষয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা হয় তবে তা কিন্তু ভালো লক্ষণ না। কারণ দীর্ঘদিন ধরে এমন হতে হতে আপনার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার ওপর প্রভাব পড়তে পারে।