বুধবার, ২ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা
জেনে রাখা ভালো

ব্রিটিশ চিকিৎসকদের মধ্যে কেন আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে?

স্বাস্থ্য ডেস্ক

পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বে সাধারণ মানুষের তুলনায় চিকিৎসা পেশায় যুক্তদের আত্মহত্যা করার হার দুই থেকে পাঁচ গুণ বেশি। বিশেষ করে নারী ও জুনিয়র চিকিৎসকরা এ ক্ষেত্রে আছেন সবচেয়ে ঝুঁকিতে।

যুক্তরাজ্যের সাম্প্রতিক জাতীয় পরিসংখ্যান বলছে, দেশটিতে ২০২০ সালে চিকিৎসা পেশায় যুক্ত (চিকিৎসক, নার্স, থেরাপিস্ট, ডেন্টিস্ট ও মিডওয়াইফ) ৭২ জন আত্মহত্যা করেছেন। সেই হিসেবে প্রতি সপ্তাহে একজন করে চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট মানুষ আত্মহনন করেছে দেশটিতে। নার্সদের মধ্যে এই আত্মহত্যা প্রবণতা আরও বাড়ছে। ২০২২ সালে ব্রিটেনে ৩৬০ জনের বেশি নার্স আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূলত কাজের চাপ, বুলিং, হেনস্তা, টানা কাজ, ঘুম বঞ্চনা, অবকাঠামোর অভাব এবং অর্থস্বল্পতার মতো নানা কারণে চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরা আত্মহননের পথে হাঁটছেন।

ব্রিটিশ সরকারের অর্থ সংকোচন নীতির সরাসরি প্রভাব পড়ছে চিকিৎসা খাতে। রোগীর চাপ দ্বিগুণ হলেও বাড়েনি চিকিৎসাকর্মীর সংখ্যা। ফলে বর্তমান কর্মীদের ওপরই বেশি চাপ পড়ছে। করোনাকালে সেই সংকট ও মানসিক চাপ আরও বেড়েছে। সেই তুলনায় চিকিৎসা খাতে বরাদ্দ বাড়ায়নি ব্রিটিশ সরকার। মনোবিজ্ঞানী কেভিন টিও বলেছেন, ‘যেখানে জরুরি সেবা দেওয়া হয় এবং হাসপাতালের বিছানা ভর্তি রোগী, সেখানে আমরা চিকিৎসাকর্মীদের বেশি মানসিক অশান্তিতে ভুগতে দেখেছি।’ কেভিনের সহ লেখক গেইল কিনম্যান বলেছে, ‘সেখানে কয়েকজন মাত্র চিকিৎসক রয়েছে। চিকিৎসা উপকরণ এবং জনশক্তিও কম। কিন্তু অসীম চাপের মধ্যেও তাদের প্রত্যাশামাফিক কাজটা করে যেতে হবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের কাঁধে রোগীদের জন্য আত্মত্যাগ ও আপন জীবন উজাড় করার ভার চাপিয়ে দেওয়া হয়।’

সর্বশেষ খবর