মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

বয়স্কদের বাতব্যথা অক্ষমতার চিকিৎসা

বয়স্কদের বাতব্যথা অক্ষমতার চিকিৎসা

শরীরের মাংস, হাড় ও জয়েন্টে দীর্ঘমেয়াদি যে ব্যথা হয় তাকে বাতব্যথা বলে। শরীরের বিভিন্ন অংশে যখন কোনো ব্যথা ছয় সপ্তাহ বা দেড় মাসের বেশি সময় ধরে স্থায়ী থাকে তখন সেই ব্যথাকে ক্রনিক বাতব্যথা বলা হয়। মধ্যবয়সী ও বয়স্করা বাতব্যথায় বেশি ভুগে থাকেন।

লক্ষণ : হাত, পা ও হাঁটুর গিরায় ব্যথা, মাংসপেশি চাবানো কামড়ানো বা জ্বালাপোড়া হাত পায়ের গিরা ফুলে যাওয়া, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ব্যথার তীব্রতা বেশি থাকা হাত-পা নাড়তে সমস্যা, এ ছাড়াও স্কিনে র‌্যাশ আসা, মাথার চুল পড়ে যাওয়া, মুখের ভিতর ঘা হওয়ার মতো লক্ষণও দেখা যেতে পারে।

কারণ : বাতব্যথা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই জেনিটিক কারণে হয়, যেমন : কারও বাবা-মা ও রক্তসম্পর্কীয় আত্মীয়দের মাঝে যদি এ রোগের ইতিহাস থাকে। এ ছাড়া বয়সজনিত কারণে, বিশেষ করে মহিলাদের মনোপোজের পরে হাড়ের ঘনত্ব কমে যায় তখন বাতব্যথার লক্ষণ প্রকাশ পায়। আমরা শারীরিক পরিশ্রম কম করে থাকি। এতে স্থুলতা বৃদ্ধি পায়, ফলে হাঁটুর গিটে অতিরিক্ত একটা চাপ পড়ে। সেখান থেকেও বাতব্যথা হয়ে থাকে। আমাদের যে কোনো কাজের ভুলে, আঘাত পেলে, খাদ্যাভ্যাসসহ আরও অনেক কারণে বাতব্যথা হতে পারে।

করণীয় : খুব কম ক্ষেত্রে বাতব্যথা পুরোপুরি নিরাময় করা যায়। তবে ওষুধ, সঠিক ব্যায়াম এবং ভালো জীবনধারা মেনে চললে এ ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। অল্প ব্যথায় গরম সেঁক দিলে কিছুটা আরাম হয়। শুধু ওষুধ দিয়ে বাতব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব নয়। ওষুধ হচ্ছে বাত রোগ চিকিৎসার একটি অংশ মাত্র। কিন্তু এর বাইরে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে, যেমন : সুষম খাবার গ্রহণ করা, শরীরের ওজন ঠিক রাখা, নিয়মিত ব্যায়াম করা, লাইফস্টাইল পরিবর্তন ইত্যাদি। বয়স্করা ব্যথায় অচলাবস্থার কারণে হাড়ের সংযোগস্থল আরও স্টিফ বা শক্ত হয়ে যায়, তখন ব্যথা বেশি বাড়ে। এ জন্য নিয়মিত ব্যায়াম বা হাঁটাচলা করতে হবে।

লেখক : ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান, সহযোগী অধ্যাপক, আইআইএইসএস ও কনসালটেন্ট, ডিপিআরসি, ঢাকা।

সর্বশেষ খবর