শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

জেনে রাখা ভালো

পানিবাহিত রোগ হলো সেসব রোগ, যা জীবাণু দ্বারা দূষিত পানির মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে। অর্থাৎ অপরিশুদ্ধ পানি পান করার মাধ্যমে অথবা সেই পানি বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের ফলে যে ধরনের ব্যাধি সংক্রামিত হয়, তাকেই পানিবাহিত রোগ বলে। অনেক ধরনের পানিবাহিত রোগ রয়েছে, যেমন- ডায়রিয়া, কলেরা, আমাশয়, টাইফয়েড ও জন্ডিস। পানিতে মিশে থাকা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস প্রভৃতি জীবাণুর মাধ্যমে ডায়রিয়া রোগ ছড়ায়। কলেরাও একটি মারাত্মক রোগ। দূষিত জীবাণুযুক্ত পানি পান করলে এ রোগ হয়। পাতলা পায়খানার সঙ্গে প্রচুর বমি কলেরার লক্ষণ। সলমনেলা টাইফি এবং প্যারাটাইফি নামক পানিবাহিত জীবাণুর কারণে যে রোগটি হয় তাকে টাইফয়েড বলে। জন্ডিস একটি পানিবাহিত ভাইরাসজনিত রোগ। এটি লিভারকে নষ্ট করে ফেলতে পারে। জন্ডিসের ফলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বেশির ভাগ পানিবাহিত রোগের লক্ষণ হলো- পাতলা পায়খানা, বমি, জ্বর ও পেটব্যথা। পানিবাহিত রোগ সংক্রমণের অন্যতম কারণ হলো দূষিত পানি এবং দুর্বল পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা। ডায়রিয়া, কলেরা হলে শরীর থেকে পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। লবণ ও পানির অভাব পূরণ করাই এর একমাত্র চিকিৎসা। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীকে খাওয়ার স্যালাইন, ভাতের মাড় বা অন্য বিশুদ্ধ পানীয় খাওয়ালে শরীরে লবণ-পানির ঘাটতি কমবে। শিশুর বুকের দুধ খাওয়া বন্ধ করবেন না। যে বয়সের জন্য যে খাবার স্বাভাবিক, তা-ই খাওয়াতে হবে। অবস্থার উন্নতি না হলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। এছাড়া আরও যা করতে হবে- * খাবার সব সময় ঢেকে রাখতে হবে। তা না হলে খাবারে মশা-মাছি বসবে। এতে কলেরা ও ডায়রিয়া রোগের জীবাণু ছড়াতে পারে। * পচা বা বাসি খাবার খাওয়া যাবে না। বিশেষ করে গরমের এই সময়টায় খাবার খুব দ্রুত পচে যায়। তাই বাসি খাবার নিয়ে এসময় যথেষ্ট সতর্ক হতে হবে। * পানির উৎসের কাছাকাছি মলত্যাগ করা যে সবার জন্যেই ক্ষতিকর, এ ব্যাপারে সবাইকে আরো সচেতন করে তুলতে হবে। * রাস্তা বা ফুটপাতের উন্মুক্ত পরিবেশের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর