সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ

বেশকিছু প্রোগ্রাম এখানে রয়েছে যা অন্য কোথাও নেই

অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী - উপাচার্য, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বেশকিছু প্রোগ্রাম এখানে রয়েছে যা অন্য কোথাও নেই

ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী বলেছেন, ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান লক্ষ্য হলো- জীবনঘনিষ্ঠ ও মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদান, যা বেকারত্ব দূরীকরণে ব্যাপক সহায়তা করবে। সে হিসেবেই আমরা কোর্স কারিকুলাম ডিজাইন করেছি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছু প্রোগ্রাম রয়েছে যা অন্য কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে সবকটি কোর্সে ভর্তিচ্ছুর সংখ্যা অনেক, তবে ইউজিসির নীতিমালা মানতে গিয়ে আমরা অনেক বিষয়ে ছাত্রছাত্রীর চাহিদা মেটাতে পারছি না। তবে এটুকু বলতে পারি, আমাদের সর্বাধিক চাহিদাসম্পন্ন কোর্স হচ্ছে আইন ও ফার্মেসি বিভাগ। ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির আকর্ষণীয় স্থায়ী ক্যাম্পাস রয়েছে এবং আমাদের ক্যাম্পাসটির সরকারের স্থায়ী অনুমোদন রয়েছে। আমাদের নয়নাভিরাম ক্যাম্পাসটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। এ ছাড়া আবাসিক ব্যবস্থা, সুপ্রশস্ত ক্যান্টিন, খেলার সুবিধা, সাংস্কৃতিক কর্মের অবারিত সুবিধা ও শিল্পকারখানার সঙ্গে যোগ-সংযোগ রয়েছে। আমাদের অধিকাংশ শিক্ষার্থী পাঠ গ্রহণের পর চাকরি পেয়ে যাচ্ছে, বিদেশে পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছে কিংবা উদ্যোক্তা হিসেবে স্বকর্মসংস্থান ও অন্যান্যদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছে। আমাদের অনেকগুলো বাস রয়েছে-যেসব বিনা খরচে ছাত্রছাত্রীদের ঢাকার অভ্যন্তরে ছাড়াও সাভার, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, নরসিংদী, ঘোড়াশাল ও সাইনবোর্ড পর্যন্ত চলাচল করে। তাছাড়া মেট্রোরেলের দুটো স্টেশন আমাদের অতি কাছে অবস্থিত। নিকট দূরত্বের শিক্ষার্থীদের জন্যও বাস সার্ভিস রয়েছে। সব মিলেই শিক্ষার্থীদের আগ্রহে পরিণত হয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে অতি উচ্চশিক্ষিত, দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক রয়েছেন। অতীতের  মতো সম্প্রতি আমরা বিদেশি শিক্ষকদের নিয়োগ দিচ্ছি। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদলে তৈরি, শিক্ষার মাধ্যম ইংরেজি। ইংরেজি, অঙ্ক ও কম্পিউটিং এ দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য রেমিডিয়েল কোর্সের ব্যবস্থা রয়েছে।

এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অব এক্সিলেন্স অর্থাৎ গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের প্রতিটি পদে কয়েকটা স্তর রেখেছি। এক স্তর থেকে অন্য স্তরে যেতে, বেতন বৃদ্ধিতে কিংবা প্রমোশনে প্রকাশনা ছাড়াও অনেক কিছুই বিবেচনায় নেওয়া হয়। তদুপরি বিশ্ববিদ্যালয়টিকে একটি বৃহত্তর পরিবার হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে বলে চাকরি ছাড়ার প্রবণতা কম। পেনশন ও গ্র্যাচুইটির ব্যবস্থা আছে। আমরা এমন কিছু কোর্স পড়াচ্ছি যা সাম্প্রতিককালেও এদেশে এমনকি এ অঞ্চলে অপরিচিত ছিল। সেগুলোর মধ্যে  Mechatronics Engineering, MBE, Msc in Cyber Security রয়েছে। আমরাই এদেশে ডিপ্লোমা ছাত্রদের জন্য প্রথম ডিগ্রি কোর্স প্রবর্তন করেছি। দেশের বহু মানুষ এখন দারিদ্র্যসীমার ওপরে বসবাস করছে। আমাদের ২১ হাজার গ্র্যাজুয়েট এ ব্যাপারে কিছুটা হলেও অবদান রাখছে। আমাদের অনার্স ও গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে কিংবা স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে ইউজিসির নির্ধারিত ভর্তি যোগ্যতা নিরঙ্কুশভাবে অনুসরণ করা হয়। নারী শিক্ষার্থীদের জন্য ৮০% বৃত্তির ব্যবস্থা, মেধাবী ও গরিব শিক্ষার্থীদের টিউশন ফির ওপর ২০%-১০০% বৃত্তির ব্যবস্থা; মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নাতি-নাতনি ও উপজাতির জন্য ১০০% বৃত্তির ব্যবস্থা; প্রতিবন্ধী, প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আগত শিক্ষার্থী, একই পরিবারের সদস্য, খেলোয়াড় ও শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ৫০% বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়াও স্থাপত্যবিদ্যা, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, ফ্যাশন ডিজাইন, অ্যাপারেল ম্যানুফেকচারিং ইঞ্জিনিয়ারিং, অটোমোবাইল ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে ৮০%-১০০% বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। বর্তমানে ভাতা বাবদ আমি মাসে ২০ হাজার টাকা পাই। আমাদের ফি অনেক কম কিন্তু স্কলারশিপ, স্টাইপেন্ড এবং ওয়েভার অনেক। তদুপরি আমার প্রাপ্ত ভাতাটাও আমি স্কলারশিপ হিসেবে অতি মেধাবী ও আর্থিকভাবে অক্ষম শিক্ষার্থীদের দিয়ে দিচ্ছি। উত্তরার মতো জায়গায় সুপরিসর ক্যাম্পাস সব সুবিধাদিসহ আমরা তৈরি করেছি। দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে মাত্র ১১টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী অনুমোদন পেয়েছে। এক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান সপ্তম। আমাদের স্থান সংকুলানের জন্য ১২ তলা একটি নতুন ভবন তৈরির পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাই ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের পছন্দের শীর্ষ তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।

সর্বশেষ খবর