শিরোনাম
সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

মানসম্মত শিক্ষা প্রদানে আপসহীন

অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম মিয়া - উপাচার্য, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

মানসম্মত শিক্ষা প্রদানে আপসহীন

শুরু থেকেই এ বিশ্ববিদ্যালয় ভিন্ন ধারায় ও স্বতন্ত্র মাত্রায় দেশের উচ্চশিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে সচেষ্ট রয়েছে...

 

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম মিয়া বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে একটি অন্যতম প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ)। শুরু থেকেই এ বিশ্ববিদ্যালয় ভিন্ন ধারায় ও স্বতন্ত্র মাত্রায় দেশের উচ্চশিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে সচেষ্ট রয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হলো তার পরবর্তী সময়ে আমরা সফলভাবে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়েছি। মানসম্মত শিক্ষা প্রদানে কখনো আপস করেনি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। ভর্তি হওয়ার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগত মান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েই ভর্তি হতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

উপাচার্য বলেন, আমরা করোনার মধ্যেও নিয়মিত অনলাইন ক্লাস, কর্মশালা, সেমিনার ও পরীক্ষার কারণে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে কোনো রকম ঘাটতি তৈরি হতে দিইনি। তেমনি চলমান রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও আমরা একই মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আর রাজনৈতিক কর্মসূচিমুক্ত দিনগুলোতে ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছি। তিনি বলেন, চাকরির বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী গ্র্যাজুয়েট তৈরিতেও ইউআইইউ বদ্ধপরিকর। যার ফলশ্রুতিতে ইউআইইউ গ্র্যাজুয়েটরা দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানসহ বিদেশে শিক্ষকতা এবং বড় করপোরেট হাউসে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। তারা আমেরিকা, কানাডা, ইতালিসহ ইউরোপের শীর্ষ করপোরেটের বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত আছে। 

শিক্ষার্থীদের চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রচলিত শিক্ষা থেকে বের করে এনে তাদের হাতে-কলমে শিক্ষার ওপর জোর দিচ্ছি আমরা। উদ্ভাবনী শক্তির উদ্দীপনা নিয়ে গবেষণা থেকে বাণিজ্যিকীকরণ ও উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে একাডেমিয়া, ইন্ডাস্ট্রি ও সরকারের মধ্যে সক্রিয় যোগসূত্র স্থাপন করার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে ইউআইইউ।

এ বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে সুবিশাল দৃষ্টিনন্দন ক্যাম্পাস। ১৩ তলাবিশিষ্ট ভবনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ভবনের সামনেই আছে দৃষ্টিনন্দন ১৮ বিঘা একটি খেলার সবুজ মাঠ। রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের মাল্টিমিডিয়া শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ১০০টিরও অধিক স্মার্ট শ্রেণিকক্ষ। আরও আছে বিশাল আকারের দুটি অডিটরিয়াম ও একটি মাল্টিপারপাস হল, যেখানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের কনফারেন্স, সেমিনারসহ নানা ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড হয়ে থাকে। হাতে-কলমে শিক্ষাদানের জন্য ইউআইইউতে রয়েছে ৫০টিরও অধিক ল্যাব। সারা বছরব্যাপী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড এবং সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশে আছে ১৬টি ক্লাব ও ১৫টি ফোরাম। ইউআইইউতে শতভাগ পূর্ণকালীন শিক্ষক-শিক্ষিকার মাধ্যমে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামসমূহ পরিচালনা করা হয়। ইউআইইউ একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি সক্রিয়ভাবে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য প্রতি বছর ৩ কোটি টাকা প্রদান করে। শিক্ষার্থীদের প্রতি গবেষণাপত্রের জন্য ১৫,০০০ টাকা এবং শিক্ষকদের ৫০,০০০ টাকা ইনসেনটিভ প্রদান করে থাকে।

ইউআইইউতে মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ বা বিশেষ সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে। উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফল করলে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত টিউশন ফি ছাড় দেওয়া হয়। ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষার্থীদের জন্য ১০০ শতাংশ পর্যন্ত টিউশন ফি ছাড়ের ব্যবস্থা আছে। এ ছাড়া প্রতি সেমিস্টার ফাইনাল রেজাল্টের ওপর ভিত্তি করে ২৫% থেকে ১০০% পর্যন্ত টিউশন ফি ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে, যেটির বার্ষিক পরিমাণ প্রায় ১২-১৩ কোটি টাকা। এ ছাড়াও ইউআইইউতে মোট ভর্তিকৃত ছাত্রছাত্রীর ৩% হারে মেধাবী ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের গরিব ছাত্রছাত্রী এবং মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের জন্য ১০০% ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে। তারা বিনা খরচে চার বছরের স্নাতক শেষ করতে পারে। এ ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন কোটায় ছাড়ের ব্যবস্থা। শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন অনুযায়ী সুদমুক্ত ঋণেরও ব্যবস্থা রয়েছে এখানে।

সর্বশেষ খবর