সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

চাকরির বাজারে যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখছেন ফারইস্টের গ্র্যাজুয়েটরা

অধ্যাপক ড. রকীব আহমদ - উপাচার্য, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

চাকরির বাজারে যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখছেন ফারইস্টের গ্র্যাজুয়েটরা

ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. রকীব আহমদ বলেছেন, দেশের উচ্চশিক্ষায় যুগোপযোগী ও জ্ঞানভিত্তিক দক্ষ জনশক্তি তৈরির লক্ষ্য নিয়ে ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে সুনামের সঙ্গে পরিচালিত হয়ে আসছে ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় খুব বেশি পুরনো না হলেও আমাদের গ্র্যাজুয়েটরা বিসিএস, সহকারী জজসহ বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি, এনজিওতে যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে আসছেন। আমাদের অনেক শিক্ষার্থী গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে বিশ্বের নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চতর ডিগ্রির জন্য ভর্তি হচ্ছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

উপাচার্য বলেন, আগামী বিশ্বের ভিন্নতর প্রযুক্তিগত পরিমন্ডলে অবদান রাখার জন্য এবং দেশকে একই তালে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে শিক্ষার ধরন নতুন আঙ্গিকে সাজানো হচ্ছে। যেমন নতুন কারিকুলাম, পরিশুদ্ধ শিক্ষা পদ্ধতি এবং আধুনিক ল্যাবরেটরির সংযোজন উল্লেখযোগ্য।

তিনি বলেন, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে অফলাইন ক্লাসের পাশাপাশি অনলাইনে ক্লাসেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি শুক্র ও শনিবার ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়াও পরীক্ষাগুলো শুক্র ও শনিবারভিত্তিক নেওয়া হচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের সহশিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন ক্লাব রয়েছে। যেমন, কম্পিউটার ক্লাব, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব, ডিবেট ক্লাব, স্পোর্টস ক্লাব, ব্লাড ডোনেশন ক্লাব, সুইমিং ক্লাব, ফটোগ্রাফি ক্লাব ইত্যাদি। ব্লাড ডোনেশন ক্লাব নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানের জন্য কাজ করে আসছে।

ড. রকীব আহমদ বলেন, অনেকের ধারণা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মানে অনেক খরচ; আসলে এ কথাটি সব ক্ষেত্রে সত্য নয়। এফআইইউ দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে সবার সাধ্যানুযায়ী টিউশন ফি নির্ধারণ করেছে। এ ছাড়াও শুরু থেকেই মেধাবী শিক্ষার্থীদের গুরুত্ব দিয়ে আসছে। এফআইইউর মূল লক্ষ্য স্বল্প ব্যয়ে আধুনিক শিক্ষার সুযোগ দিয়ে দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরি করা। এজন্য বর্তমানে মেধাবী শিক্ষার্থীদের একাডেমিক রেজাল্টের ওপর ভিত্তি করে ২০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত স্কলারশিপ প্রদান করা হচ্ছে। কোনো শিক্ষার্থী এসএসসি এবং এইচএসসি দুটিতেই জিপিএ-৫ নিয়ে এফআইইউতে গ্র্যাজুয়েশন পর্যায়ে ভর্তি হলে শতভাগ স্কলারশিপ পাচ্ছে। আমাদের শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার প্রয়াসে শিক্ষকরা তথা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। কোনো প্রকার সেশনজট ছাড়াই নিরিবিলি পরিবেশে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা অর্জনের সুযোগ পাচ্ছে।

রাজধানীর উত্তরার ১৬ নম্বর সেক্টরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের। সুদৃশ্য, নয়নাভিরাম নতুন ক্যাম্পাসে সব বিভাগের প্রয়োজনীয় আধুনিক ল্যাব, লাইব্রেরি, কমন রুম, রেস্টুরেন্ট ও নিরাপত্তাব্যবস্থা রাখা হয়েছে। স্থায়ী ক্যাম্পাসটি উত্তরা উত্তর মেট্রো স্টেশনের সন্নিকটে অবস্থিত। আমরা আশা করছি ২০২৪ সালের মধ্যেই স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করব।

সর্বশেষ খবর