সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের টার্গেট এখন প্রযুক্তিবান্ধব এই ইউনিভার্সিটি

শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের টার্গেট এখন প্রযুক্তিবান্ধব এই ইউনিভার্সিটি

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণাভিত্তিক কোয়াককোয়ালিটি সায়মন্ডস (কিউএস) প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অতি সম্প্রতি কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিংস সাসটেইনেবিলিটি ২০২৪-এ বিশ্বের সেরা ১ হাজার টেকসই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মর্যাদাপূর্ণ ৯০১-৯২০ এর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্থায়ী সনদ অর্জন করেছে। প্রায় অর্ধ লাখ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও ২০ হাজার বর্তমান শিক্ষার্থীর নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এ স্থায়ী সনদ অর্জন আনন্দের বাতাবরণ নিয়ে এসেছেন। অসংখ্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অর্জনের সঙ্গে নতুন এ সংযোজনে বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের প্রথম সারির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দেশে ও দেশের বাইরে যে পরিমাণ সুনাম অর্জন করেছে, এটা তারই স্বীকৃতি। বিশ্বমানের দৃষ্টিনন্দন গ্রিন ক্যাম্পাস, শিক্ষার গুণগত পরিবেশ ও মান, শিক্ষা প্রদান সংক্রান্ত সব কর্মক্ষমতা, ডিজিটাল শিক্ষাদান পদ্ধতি এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় আরোপিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শর্ত পূরণের মাধ্যমেই এ স্থায়ী সনদ অর্জন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশের মঞ্চে তাদের স্বকীয়তা প্রকাশ করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে সুবিশাল ক্যাম্পাস, যেখানে আছে নিজস্ব ছাত্রাবাস, পরিবহনব্যবস্থা, জিমনেশিয়াম, সুইমিংপুল, লাইব্রেরি, সুবিশাল খেলার মাঠ এবং আরও শিক্ষাসহায়ক নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা। সব মিলিয়ে সাভারের বিরুলিয়ায় ‘ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটি’তে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসটি দেশের নজরকাড়া ক্যাম্পাসগুলোর অন্যতম। শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ ও গবেষণাকর্মে সহায়তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে সমৃদ্ধ ডিজিটাল লাইব্রেরি। যাতে আছে দেশি-বিদেশি রেফারেন্স বই, ই-বুক, প্রজেক্ট রিপোর্ট, ই-জার্নাল, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিক ম্যাগাজিন ও আন্তর্জাতিক পত্র-পত্রিকা। লাইব্রেরির সব কর্মকান্ডই অনলাইন ও স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়ে থাকে। ক্রীড়াবান্ধব ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রয়েছে ইনডোর এবং আউটডোর খেলাধুলার সব সুবিধা, দৃষ্টিনন্দন বিশাল খেলার মাঠ। পাশেই বাস্কেটবল গ্রাউন্ড এবং গলফ কোর্স। এ ছাড়া টেনিস কোর্ট, ফুটসাল কোর্ট, ব্যাডমিন্টনসহ অন্যান্য সব ধরনের খেলাধুলার আয়োজন রয়েছে ক্যাম্পাসে।

অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থার দিক থেকেও দেশের মধ্যে এগিয়ে আছে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি। করোনার সময়ে শিক্ষা কার্যক্রম নিশ্চিতকরণে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি তৈরি করেছে ‘ব্লেন্ডেড লার্নিং সেন্টার’ ও ‘গো-এডু’র মতো প্ল্যাটফরম। আর এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন ভার্সনে শিক্ষা গ্রহণে আরও উজ্জীবিত করেছে ‘একজন শিক্ষার্থী, একটি ল্যাপটপ’ প্রকল্প। প্রায় প্রতিটি শিক্ষার্থীর ঘরেই ল্যাপটপ থাকায় করোনার সময়ে পিছিয়ে ছিল না কেউ; বরং অনলাইন ও মিশ্র শিক্ষাব্যবস্থায় তাদের প্রায় প্রত্যেকেই পেয়েছেন সমাবর্তন; যোগ দিয়েছেন দেশের অর্থনৈতিক সেবায়। সেই সঙ্গে নতুন করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি উন্নত বিশ্বের মতো দেশেও ধারণা দিতে যাচ্ছে অনলাইন ডিগ্রি ও প্ল্যাটফরমভিত্তিক শিক্ষাদান পদ্ধতির।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খানের দূরদর্শী চিন্তা-ভাবনার জন্যই ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সফলতার র‌্যাঙ্কিং এখন ঈর্ষণীয় অবস্থানে। কিউএস ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিং ২০২৩-এ এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পঞ্চম এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এর অবস্থান তৃতীয়। এ ছাড়াও ‘ইউআই গ্রিনমেট্রিক ওয়ার্ল্ড র‌্যাঙ্কিং-২০২৩’ এ বিশ্বের মধ্যে ১৯তম, দক্ষিণ এশিয়ায় সপ্তম এবং বাংলাদেশে প্রথম স্থানে রয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। আর ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন ইউনিভার্সিটি ইমপ্যাক্ট র‌্যাঙ্কিং ২০২২’-এ বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এটি প্রথম স্থানে রয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত ও স্বীকৃত সবকটি র‌্যাঙ্কিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি তার মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান ধরে রেখেছে। তথ্যপ্রযুক্তির অলিম্পিকখ্যাত বিশ্ব সম্মেলন ‘ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফরমেশন টেকনোলজিতে (ডব্লিউসিআইটি-২০২১) ‘ই-এডুকেশন অ্যান্ড লার্নিং’ এ ‘গ্লোবাল আইসিটি এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ পাওয়ার গৌরব অর্জন করেছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

বিশ্ববিদ্যালয়টি তরুণ পেশাদারদের ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, গুণগত ও মানসম্পন্ন শিক্ষার উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের চাকরি বাজারে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে শিক্ষা ও উন্নয়নকে প্রভাবিত করার পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।  নতুন প্রযুক্তি এবং উদ্যোগের প্রচার, গবেষণা এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রেও এ বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রগণ্য।

 

লেখক : মো. আনোয়ার হাবিব কাজল ঊর্ধ্বতন সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ), ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

সর্বশেষ খবর