বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

বগুড়ায় অর্থনৈতিক লড়াইয়ে শ্রমিক-মালিকরা

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

বগুড়ায় বিসিক শিল্পনগরীতে জায়গা সংকটের মধ্যেও ভালো মানের কারখানা উৎপাদনমুখী হয়ে অর্থনৈতিক অগ্রগতির লড়াইয়ে নেমেছে। সহস্র শ্রমিকের মেধা আর শ্রমে ফেলনা লোহা থেকে আবার তৈরি হচ্ছে কৃষি যন্ত্রাংশ। অবিরত তৈরি হচ্ছে অ্যালুমিনিয়াম হাঁড়ি-পাতিল। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিস্কুট, প্লাস্টিক, কীটনাশক, টিউবওয়েল, ওষুধ তৈরির কারখানা। কিন্তু বিসিক শিল্পী নগরীর জায়গা সংকটের কারণে ও আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহারের কারণে বিকশিত হওয়ার পথকে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে।

জানা যায়, শিল্পনগরী হিসেবে পরিচিত বগুড়ায় পঞ্চাশের দশকে প্রতিষ্ঠিত সব ভারী শিল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে সত্তরের দশকে জেলায় মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্প স্থাপনে ব্যাপক সাড়া পড়ে। এ কারণে ১৯৬৪ সালে শহরের ফুলবাড়ী এলাকায় সাড়ে ১৪ একর জায়গার ওপর গড়ে তোলা হয় বিসিক শিল্পনগরী। স্বাধীনতার পরপরই শেষ হয়ে যায় প্লটগুলো। উদ্যোক্তাদের চাহিদার প্রেক্ষিতে ১৯৮০ সালে আরও ১৮ দশমিক ৬৭ একর জায়গা সম্প্রসারণ করা হয়। কিন্তু সেটির বরাদ্দও ১৯৯০ সালের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। এভাবে দুই দফায় নির্মিত মোট ২৩৩টি প্লটে ৮৫টি শিল্প ইউনিট গড়ে ওঠে। বগুড়ার বিসিকে তৈরি কৃষি যন্ত্রাংশের সারা দেশেই চাহিদা রয়েছে। বগুড়ায় উৎপাদিত এই কৃষিপণ্য বিক্রি হয়ে থাকে ময়মনসিংহ, সিলেট, জামালপুর, টাঙ্গাইল, ঢাকা, সাভার, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, ঠাকুরগাঁওসহ বিভিন্ন জেলায়।

বগুড়া বিসিক নানা সমস্যায় রয়েছে। রাস্তার কিছু সংস্কার করলেও দ্রুত পানি নিষ্কাশনের তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। রয়েছে জমির সংকট। কারখানা মালিকদের উৎপাদন কাজের জন্য প্লট প্রয়োজন হলেও তা পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারি সহযোগিতা বেশি প্রয়োজন।

সর্বশেষ খবর