বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা
পার্বত্যাঞ্চল

পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় কোমর তাঁতের শীতবস্ত্র

শীত এলে রকমারি শীতবস্ত্রের জমজমাট বেচাকেনা হয়

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

পার্বত্যাঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারীরা ঘরে বসে কোমর তাঁতে তৈরি করছেন আকর্ষণীয় শীতবস্ত্র। বাহারি ডিজাইনের শীতবস্ত্র দেশি ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণের পাশাপাশি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে বিদেশি পর্যটকের কাছেও। এ ছাড়া এসব শীতবস্ত্র বিক্রি হচ্ছে পর্যটন শহর কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, চট্টগ্রাম, পতেঙ্গাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।

জানা গেছে, করোনা মহামারির ধকল কাটিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন পাবর্ত্যাঞ্চলের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ব্যবসায়ীরা। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের (চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা) নারীরা ঘরে বসে কোমর তাঁতে তৈরি করছেন আকর্ষণীয় ডিজাইনের বিভিন্ন শাল, চাদর, সোয়েটার, মাফলার ইত্যাদি।

রাঙামাটি রাজবাড়ী ঘাটের কোমর তাঁতের বস্ত্র ব্যবসায়ী বিনা চাকমা বলেন, পরিশ্রম যেমন আছে, তেমনি লাভও আছে এ ব্যবসায়। তিনি বলেন, ২০ বছর ধরে কোমর তাঁতের বস্ত্র ব্যবসা করছি। এসব বস্ত্র মেশিনে তৈরি করা হয় না। নিজেরাই কোমর তাঁতে পিনন হাদির সঙ্গে তৈরি করি শাল, চাদর, সোয়েটার, মাফলার। আরেক ব্যবসায়ী অঞ্জলি চাকমা বলেন, শীতে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় বমশাল। কারণ বমশাল খুবই আরামদায়ক। আর মখমলে তৈরি এ শাল দেখতে খুবই আকর্ষণীয়। প্রতিটি শাল ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা। চাদর ৩০০ থেকে ৫০০ ও সোয়েটার ৭০০ থেকে ১২০০ টাকা। তিনি আরও বলেন, শীতে রাঙামাটিসহ অপর দুই পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে অনেক পর্যটক আসেন। স্থানীয়রা তো ক্রয় করেনই।  পর্যটকরাও সঙ্গে নিয়ে যান। তাই শীত এলে রকমারি শীতবস্ত্রের জমজমাট বেচাকেনা হয়। উদ্যোক্তারা বলছেন, পার্বত্যাঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কোমর তাঁতে তৈরি শীতবস্ত্র এখন অনলাইনেও বেশ জনপ্রিয়।

সর্বশেষ খবর