রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

১০ হাজার লোককে হাইস্কিলড প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

আবু হানিপ, (প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী, পিপল এন টেক)

১০ হাজার লোককে হাইস্কিলড প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

আবু হানিপ

দক্ষতার অভাবে অধিকাংশ মানুষই আমেরিকায় গিয়ে ভালো কাজ পান না। স্বল্প বেতনে বিভিন্ন অড জবে যোগদান করেন। এছাড়া আউট সোর্সিং নিয়ে অনেকেরই ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। এমনকি বাংলাদেশে বসেও যে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায় তা অনেকেই জানে না বলে মন্তব্য করলেন পিপল এন টেকের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আবু হানিপ। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি। 'সময় এবং প্রযুক্তির চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে' স্লোগানকে সামনে রেখে উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখাতে পিপল এন টেক তাদের শাখা চালু করেছে আমেরিকার ভার্জিনিয়া, নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, কানাডা এবং ভারতে। সর্বশেষ ফিলাডেলফিয়া ও বাংলাদেশে শাখা অফিস খোলা হয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের পরিধি বাড়ছে পিপল এন টেকের।

সম্প্রতি ঢাকায় এসেছেন আবু হানিপ। এবার মূলত তিনটি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবেন বলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি জানান। আবু হানিপ বলেন, প্রথমত : আমি চাই না, আমার দেশের কেউ উন্নত জীবনের স্বপ্ন নিয়ে আমেরিকায় গিয়ে ঘণ্টায় ৭-৮ ডলারে অড জব করুক। ইমিগ্র্যান্টদের বেশিরভাগই দক্ষতা বা উপযুক্ত ব্যাকগ্রাউন্ড থাকে না। এতে করে বিদেশের মাটিতে গিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েন তারা। পরিবার ও নিজের পেট চালাতে গিয়ে কম বেতনে অড জব করে থাকেন। আমার লক্ষ্য সেই সব ইমিগ্র্যান্টক বাংলাদেশেই প্রস্তুত করা। অর্থাৎ দক্ষতা এখান থেকেই তৈরি করতে হবে। এতে করে বিদেশের মাটিতে পা রাখার পরপরই ভালো ও সম্মানজনক একটি কাজে নিজেকে উজাড় করতে দিতে পারবে। ভালো বেতনে চাকরি করে বদলাবে ভাগ্য।

দ্বিতীয়ত : আমেরিকায় প্রতিবছর প্রায় ৬০ হাজার লোক এইচ-১বি ভিসায় পাড়ি জমান। যারা বিভিন্ন কোম্পানির মাধ্যমে অর্থাৎ স্পন্সর ভিসায় সেখানে যান। এদের মধ্যে বেশিরভাগই আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে। আমরা চাচ্ছি এই এইচ-১ ভিসাকেও ত্বরান্বিত করা। এসব লোককে দেশ থেকে আইটি স্পেশালিস্ট বা হাইস্কিলড প্রশিক্ষণ দিয়ে সেখানে নিয়ে যাওয়া। প্রয়োজনে এই স্পন্সারের দায়িত্বও ত্বরান্বিত করব।

তৃতীয়ত : প্রতি বছর প্রায় এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার আউটসোর্সিংয়ের কাজ হয়ে থাকে। এর মধ্যে ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কাজ পেয়ে থাকে ভারত। আর বাংলাদেশ প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার। পিপল এন টেকের মাধ্যমে ১০ হাজার লোককে হাইস্কিলড প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে। তখন এরা বাংলাদেশে বসেই বিদেশি মুদ্রা অর্জন করতে পারবে। ভূমিকা রাখবে জাতীয় অর্থনীতিতে। এ লক্ষ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছি। ইতিমধ্যে ৬০ জনকে বাছাই করেছি। আর আগামী জানুয়ারিতে আরও ১০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করব। সেই প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গেছে। সুতরাং সবমিলিয়ে লক্ষ্য একটাই- দক্ষ জনবল তৈরি ও বিদেশি মুদ্রা অর্জন।

কোর্স সম্পর্কে জানতে চাইলে আবু হানিপ বলেন, 'পিপল এন টেক থেকে সফলভাবে কোর্স সম্পন্ন করে দেশে বসেই একজন আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে মাসে ৪০ হাজার থেকে দুই-তিন লাখ টাকা রোজগার করতে পারবেন। এছাড়া কেউ আমেরিকায় যেতে চাইলে এ কোর্স তাদের আবেদন ও সে দেশে গিয়ে ভালো কাজ পেতে সহায়তা করবে।' এ বিষয়ে আরও জানতে ভিজিট করতে পারেন www.piit.us অথবা কল করতে পারেন ০১৬১১৪৪৬৬৯৯ নম্বরে। যারা এইচ১বি ভিসায় (কাজের ভিসা) আমেরিকায় যেতে চায় তাদের জন্য এই প্রশিক্ষণ কাজে আসবে। তিনি বলেন, এক সময় বাংলাদেশি যুবকরা যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে অড জবের বাইরে ভাবতেও পারতেন না। এখন তারা লাখ ডলারের কাজ করছেন। মূলত ইমিগ্র্যান্ট ও এইচ১বি ভিসায় যাওয়া প্রবাসীদের জন্যই আমেরিকায় প্রতিষ্ঠানটি চালু করা। মূলকথা জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরিত করাই তাদের লক্ষ্য বলে জানান আবু হানিপ।

 

সর্বশেষ খবর