বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। বাজার মূলধন অনুযায়ী (শেয়ার মূল্য) এটি যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান। তবে প্রযুক্তি বিশ্বে অ্যাপল আসলে কতটা শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান, সেটা স্বাভাবিকভাবে মাথায় ঢুকানো কঠিন। আপনি কী ধারণা করতে পারেন যে, অ্যাপলের মোট শেয়ার মূল্য ৬৭৩ বিলিয়ন ডলার! পিসির বাজার ধরার জন্য এক সময় যেখানে অ্যাপলকে আইবিএমের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হতো, সেখানে বর্তমানে শুধু আইফোন দিয়েই অ্যাপল বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। অ্যাপল আসলে কতটা বড় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে, সেটা জানার জন্য অ্যাপলের কয়েকটি ব্যবসায়িক তথ্যই যথেষ্ট। অ্যাপলের কাছে নগদ অর্থ রয়েছে ২০৬ বিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সব জনগণের (৩১৬ মিলিয়ন) প্রত্যেকের জন্যই ৬৫১ ডলার মূল্যের আইফোন (১৬ জিবি) কেনা যাবে! গত প্রান্তিকে অ্যাপল বিশ্বব্যাপী ৫.৭১ মিলিয়ন ম্যাক বিক্রয় করেছে। যা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা রাজ্যের প্রত্যেককেই নিজস্ব কম্পিউটার দেওয়ার পরও, আরও কিছু থেকে যেত। ২০১৪ অর্থবছরে অ্যাপলের শুধু মুনাফাই হয়েছে ৩৯.৫ বিলিয়ন ডলার। যার সঙ্গে আরও কয়েক বিলিয়ন অর্থ যোগ করে একযোগে ø্যাপচ্যাট, পিন্টারেস্ট এবং এয়ারবিএনবির মতো প্রতিষ্ঠান সহজেই কিনে ফেলা যেত! যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি কর্তৃপক্ষ থেকেও বেশি নগদ অর্থ রয়েছে অ্যাপলের কাছে। গত প্রান্তিকে অ্যাপল ৪৮.০৫ মিলিয়ন আইফোন বিক্রি করেছে। যা দিয়ে পুরো স্পেনবাসীর আইফোন হয়ে যেত। গত প্রান্তিকে অ্যাপলের শুধু আইপ্যাড বিক্রির পরিমাণই ৯.৮৮ মিলিয়ন! অ্যাপলের সাম্প্রতিক আয়ের তথ্যানুযায়ী, অ্যাপলের বার্ষিক আয় ছিল ২৩৩.৭ বিলিয়ন ডলার এবং বার্ষিক লাভের পরিমাণ ৫৩.৪ বিলিয়ন ডলার। অন্যভাবে বলা যায়, প্রতি সপ্তাহে অ্যাপলের লাভের পরিমাণটা এক বিলিয়ন ডলার। গত প্রান্তিকে অ্যাপলের আয় ছিল ৫১.৫ বিলিয়ন ডলার। যা কোস্টা রিকার সমগ্র অর্থনীতির চেয়েও বেশি! গত বছরে সমগ্র রাশিয়ান শেয়ার বাজারের চেয়ে বেশি অর্থ ছিল অ্যাপলের। এ বছরের শুরুর দিকে অ্যাপল জানিয়েছিল, তাদের শত শত কোটি আইওএস ডিভাইস বিক্রি হয়েছে। যা দিয়ে ভারতের প্রায় প্রত্যেকেরই আইওএস ডিভাইস হয়ে যেত কিংবা যুক্তরাজ্যের প্রত্যেকের ১৫টি করে আইওএস ডিভাইস হয়ে যেত!