রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

জিপিএস বন্ধ হয়ে গেলে...

ইনফোটেক ডেস্ক

জিপিএস বন্ধ হয়ে গেলে...

প্রথম জিপিএস স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ হয় ১৯৭৮ সালে। বর্তমানে জিপিএস ২৪টি স্যাটেলাইটের সমন্বয়ে করা একটি পদ্ধতি। এগুলোর সঙ্গে ঘড়ির সময় মেলানো বা সিনক্রোনাইজ করা। যখন আপনার স্মার্টফোন জিপিএস ব্যবহার করে আপনার অবস্থান ম্যাপে খুঁজে বের করে, তখন এটা আসলে কোনো একটি স্যাটেলাইট থেকে সিগন্যাল গ্রহণ করে এবং সিগন্যাল পাঠানোর সময়ের ভিত্তিতে হিসাব করে। স্যাটেলাইটের ঘড়িতে একটি এক মুহূর্তের হেরফের হয় তাহলে আপনি হয়তো আপনাকেই দুই/তিনশ কিলোমিটার দূরে হারিয়ে ফেলবেন। তাই আপনি যদি সময়ের ভিত্তিতে সঠিক তথ্য চান তাহলে জিপিএসই আসলে সেই জায়গা। এক সেকেন্ডের এক লাখ ভাগের এক ভাগের হেরফেরেও ঘটাতে পারে বড় বিপত্তি। যুক্তরাষ্ট্র সামরিক বাহিনী প্রথমে এর সমর্থন দিয়েছিল কারণ এটা বোমা হামলা চালাতে সহায়তা করে।  এমনকি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি নিশ্চিত হতে এটা সহায়তা করে। প্রশ্ন হচ্ছে সামরিক কারণে জিপিএস গুরুত্বপূর্ণ হলেও যুক্তরাষ্ট্র কেন অন্যদের এটি ব্যবহারের সুবিধা দিতে রাজি হলো? তাদের আসলে কিছু করার ছিল না। তারা স্যাটেলাইটের দুটি সিগন্যাল পেতে চেয়েছিল। একটি তাদের নিজেদের ব্যবহারের জন্য আর অন্যটি কম সক্ষমতার, সাধারণ নাগরিকদের জন্য। কিন্তু কোম্পানিগুলো পরেরটিতেই দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যা অর্থনীতিকেও চাঙ্গা করে তোলে। ২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন হাই গ্রেড সিগন্যালকে অন্যদের জন্য সহজলভ্য করেন। বস্তুতপক্ষে জিপিএস একমাত্র গ্লোবাল নেভিগেশনাল স্যাটেলাইট সিস্টেম নয়। রাশিয়ারও এ ধরনের একটি পদ্ধতি আছে যার নাম গ্লোনাস। যদিও এটা খুব একটা ভালো মানের নয়। চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও নিজস্ব প্রকল্প আছে। আশার কথা হলো, বর্তমানে জাপান ও ভারতও এগুলো নিয়ে কাজ করছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর