এবার ফিলিস্তিনের পরিবর্তে আরব লীগের পর্যায়ক্রমিক সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে লিবিয়া। এর আগে, কাতার এবং কুয়েতও এই পদ প্রত্যাখ্যান করেছে। এরপর লিবিয়াকে এই পদ গ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার এ সংক্রান্ত প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে।
তারা বলেছে, আরব লীগের সভাপতির দায়িত্ব নেয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আরব লীগের পর্যায়ক্রমিক সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের কথা ছিল ফিলিস্তিনের। কিন্তু ফিলিস্তিন তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে পর্যায়ক্রমে কাতার, কুয়েত ও লিবিয়াকে এই লীগের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের প্রস্তাব দেয়া হয়।
ঘটনা শুরু হয় ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সঙ্গে বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়কে কেন্দ্র করে। দখলদারদের সঙ্গে ওই দুই আরব দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রতিবাদে গত ২২ সেপ্টেম্বর ফিলিস্তিনের স্বশাসিত সরকার আরব লীগের সভাপতির পদ গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। ফিলিস্তিনের অস্বীকৃতির জের ধরে এ পর্যন্ত আরও তিনটি দেশ আরব লীগের সভাপতির পদ প্রত্যাখ্যান করে।গত ১৫ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউসে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য আনুষ্ঠানিক চুক্তিতে সই করে। এ চুক্তিকে ফিলিস্তিনের সমস্ত দল ও সংগঠন বিশ্বাসঘাতকতা বলে উল্লেখ করেছে। সূত্র : পার্সটুডে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক