৭ এপ্রিল, ২০২১ ১৫:৩১

বাংলাদেশ-ভারত থেকেই সম্ভবত থাইল্যান্ডে ছড়িয়েছিল চিকুনগুনিয়া, গবেষণা

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশ-ভারত থেকেই সম্ভবত থাইল্যান্ডে ছড়িয়েছিল চিকুনগুনিয়া, গবেষণা

২০১৮ এবং ২০১৯ সালে থাইল্যান্ডে চিকুনগুনিয়া রোগের যে প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছিল তা বাংলাদেশ-ভারত থেকেই থেকে ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি বলে দাবি করেছেন ব্যাংককের চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা। গত ১০ মার্চ গবেষণাটি প্রকাশ করা হয়।

২০১৮ এবং ২০১৯ সালে থাইল্যান্ডের ৬০ প্রদেশের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ এই সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হন। তবে এতে কারও মৃত্যু হয়নি। ২০১৭ সালে ঢাকায় চিকুনগুনিয়া মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল। মশা থেকে সংক্রমিত এই রোগের এখনো কোনো ভ্যাকসিন পাওয়া যায়নি। নেই নির্দিষ্ট কোনো ওষুধও।

থাইল্যান্ডের গবেষকেরা চিকুনগুনিয়া ভাইরাসের তিনটি প্রধান প্রজাতির কথা উল্লেখ করেছেন: ইস্ট, সেন্ট্রাল অ্যান্ড সাউথ আফ্রিকান (ইসিএসএ), ওয়েস্ট আফ্রিকান (ডব্লিউএ) এবং এশিয়ান। চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল থাইল্যান্ডের ১৩টি প্রদেশ থেকে ১ হাজার ৮০৬টি রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন। রিয়েল-টাইম পিসিআর পদ্ধতিতে শনাক্তকরণ পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৫৪৭টি পজিটিভ রেজাল্ট পাওয়া যায়।

ভাইরাসটির জিন নকশা বিশ্লেষণের পর দেখা যায় ২০১৮-২০১৯ সালে যে প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছিল, সেটি ইসিএসএ প্রজাতির। ধরনটি দক্ষিণ এশিয়া থেকে মিউটেশন হয়। গবেষকেরা লিখেছেন, ‘থাইল্যান্ডের চিকুনগুনিয়ার জিন নকশায় ২০১৭ সালের বাংলাদেশি স্ট্রেইনের বেশি মিল দেখা গেছে।’

থাইল্যান্ডে সর্বপ্রথম চিকুনগুনিয়া ভাইরাস শনাক্ত হয় ১৯৫৮ সালে। গবেষকেরা লিখেছেন, ‘আমাদের অনুসন্ধানে বোঝা যায় থাইল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহৎ চিকুনগুনিয়া প্রাদুর্ভাব ছড়িয়েছে বাংলাদেশ থেকে ভাইরাল স্ট্রেইন আসার পর।’

 

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর