১৩ আগস্ট, ২০২১ ০৮:১১

পরিস্থিতির চরম অবনতি, আমেরিকানদের দ্রুত আফগানিস্তান ত্যাগ করতে বলল দূতাবাস

অনলাইন ডেস্ক

পরিস্থিতির চরম অবনতি, আমেরিকানদের দ্রুত আফগানিস্তান ত্যাগ করতে বলল দূতাবাস

আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে তাবানের যুদ্ধের পর গজনি শহরের একটি স্থাপনায় তালেবান পতাকা উড়তে দেখা যায়। ছবি: সংগৃহীত

চরম অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে আফগানিস্তান। মার্কিন বাহিনী দেশটি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকেই তীব্র লড়াই শুরু হয় আফগান সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী তালেবানের মধ্যে। এরই মধ্যে দেশটির ৩৪টি প্রদেশের ৯টিই তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে।

এমতাবস্থায় আফগানিস্তানে অবস্থানরত মার্কিনিদের দ্রুত সেদেশ ত্যাগ করার পরামর্শ কাবুলে অবস্থতি আমেরিকান দূতাবাস।

বৃহস্পতিবার দূতাবাসের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে আফগানিস্তানে বসবাসরত আমেরিকানদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, “যেভাবে সম্ভব দ্রুত আফগানিস্তান ত্যাগ করুন”। 

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের কাছের একটি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর দখলসহ সারাদেশে তালেবানদের অগ্রগতির প্রেক্ষিতে নিজ দেশের নাগরিকদের প্রতি এই আহ্বান জানালো যুক্তরাষ্ট্র।

আর্থিক সংকট বা অন্য যেকোনও কারণে কেউ দ্রুত আফগানিস্তান ত্যাগ করতে অসুবিধায় পড়লে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস তাদেরকে সাহায্য করারও আশ্বাস দিয়েছে। তবে বলা হয়েছে, “নিরাপত্তার অবস্থা ও লোকবলের কমতি থাকায় কাবুলসহ আফগানিস্তানে খুব কম সংখ্যক আমেরিকানকেই সহায়তা করতে পারবে দূতাবাস”।

বৃহস্পতিবার কাবুলের ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর গজনি দখল করে নিয়েছে তালেবান। মে মাসে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকে এটি তালেবানের বড় অর্জন। এই মাসের শেষ নাগাদ সব আমেরিকান সেনা সেদেশ থেকে ফিরে যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সরিয়ে নেওয়ার পর থেকে দেশটিতে ইসলামপন্থী এই গোষ্ঠীর সঙ্গে একাই লড়তে হবে আফগান সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীকে।

কাবুলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করে গত ২৭ এপ্রিল আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কর্মকর্তাদেরকে যতটা সম্ভব দূতাবাসের বাইরে থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রলায়য়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস এ সপ্তাহের শুরুর দিকে বলেছিলেন দূতাবাসের কর্মসূচীর কোনও পরিবর্তন হয়নি তবে প্রতিদিন নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর