২৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ২২:৫৩

নকল পাত্রী চক্র, বিয়ের আগের দিন যা করল

অনলাইন ডেস্ক

নকল পাত্রী চক্র, বিয়ের আগের দিন যা করল

প্রতীকী ছবি

পাত্রপক্ষের বাড়িতে বসেছে বিয়ের আসর। রাত পোহালেই শুরু হবে বিয়ের অনুষ্ঠান। আয়োজন তুঙ্গে। উৎসবে মেতে ওঠার অপেক্ষায় গোটা গ্রাম। কিন্তু এর মধ্যেই হঠাৎ করে তাল কাটল ছন্দে। হইহই কাণ্ড। বিয়ের আগের দিনই বেপাত্তা হয়ে গেলেন কনে। পাত্রপক্ষের মাথায় হাত। বউ পালালে না হয় বউ পাওয়া যাবে, কিন্তু টাকা? ঘটনাস্থল ভারদের মধ্যপ্রদেশের কাটনি জেলার। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

পুলিশের বরাতে খবরে বলা হয়েছে, পাত্রী ও তার বাড়ির লোকজন বিভিন্ন অজুহাতে প্রায় বেশ কয়েক দফায় ছেলের বাড়ির কাছ থেকে ২ লাখ টাকা আদায় করেছেন। খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, ইদানীং কাটনিতে নকল পাত্রীর দল বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

পাত্রের মা ৭৬ বছর বয়সী জগদম্বা দীক্ষিত সম্প্রতি থানায় লিখিত অভিযোগ দেন নকল পাত্রী ও তার বাড়ির সদস্যদের নামে। তিনি জানিয়েছেন, তার দুই ছেলে বসন্তলাল দীক্ষিত ও রাজেশ দীক্ষিত। তারা দুজনেই অবিবাহিত। তাদের দুজনের বিয়ের সম্বন্ধ নিয়ে আসেন অরুণ কুমার তিওয়ারি। সতনার বাসিন্দা ববিতা তিওয়ারির দুই মেয়ে সাধনা এবং শিবানি তিওয়ারির জন্যে সমন্ধ আনেন। জগদম্বার দুটি মেয়েকেই পছন্দ হয় এবং বিয়ে পাকা করেন তিনি। সম্বন্ধ পাকা হওয়ার পর মেয়ের বাড়ির সদস্যদের ছেলের বাড়ি আসতে বলা হয়। সেখানে নকল মেয়ের বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে আসেন সাজানো মামা ও কাকা। 

মেয়ের বাড়ির আর্থিক অবস্থার ভালো নয় বলে সেই সাজানো কাকা ও মামা প্রথম দফায় ছেলের বাড়ির কাছ থেকে ৬০ হাজার রুপি এবং পরবর্তী দফায় ৫০ হাজার রুপি নেন। এখানেই শেষ নয়, নানারকম অজুহাত দেখিয়ে আরও ১ লাখ রুপি নেন তারা।

বিয়ের ঠিক এক দিন আগে ববিতা ছেলের বাড়িতে ফোন করে জানান, এক নিকট আত্মীয়ের মারা যাওয়ায় তাদের এখনই বিয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এরপর ছেলের বাড়ি থেকে সতনায় মেয়ের বাড়িতে খোঁজ নিতে যাওয়া হয়। তবে দেখা যায়, সেখানে এ রকম কোনো পরিবারের অস্তিত্বই নেই। সব গায়েব। পুরোটাই নকল।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ
 

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর