২৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১২:০০

একাত্তরে গণহত্যা ও মুম্বাই সন্ত্রাসী হামলায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিচার চাইল ভারত

অনলাইন ডেস্ক

একাত্তরে গণহত্যা ও মুম্বাই সন্ত্রাসী হামলায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিচার চাইল ভারত

একাত্তরে বাংলাদেশে পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক গণহত্যার চিত্র। ফাইল ছবি

জাতিসংঘে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যা ও ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার দায়ে পাকিস্তানের সেনা সদস্য ও কর্মকর্তাদের বিচার চেয়েছে ভারত।

নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এই দাবি জানান জাতিসংঘে ভারতের প্রতিনিধি টিএস ত্রিমূর্তি।  ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইকোনোমিক টাইমস’ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

২০২২ সালের ২৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক। এবারের বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় হলো  ‘সশস্ত্র সংঘাতকালে সাধারণ বেসামরিক মানুষের সুরক্ষা: বড় শহরসমূহে যুদ্ধ ও নগরাঞ্চলে বসবাসরত বেসামরিক মানুষের সুরক্ষা’। 

বৈঠকে টিএস ত্রিমূর্তি বলেন, ‘আমরা দেখছি যুদ্ধ ও সন্ত্রাসী হামলার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন শহর কী পরিমাণ বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘ মহাসচিবের দফতর থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও নগরাঞ্চলে সংঘাতের কারণে বিশ্বজুড়ে পাঁচ কোটিরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে যুদ্ধ পরিস্থিতি ও সন্ত্রাসী হামলার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আফগানিস্তান, লিবিয়া, সিরিয়া ও ইয়েমেনের শহরগুলোতে বসবাসরত মানুষ। অনেক ক্ষেত্রেই সংঘাতে বিস্ফোরক অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। এই কারণে  ঢালাওভাবে বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। 

তিনি আরও বলেন, এখনও অনেক দেশ আছে, যারা নিকট অতীতে ঘটে যাওয়া গণহত্যার জন্য ন্যায়বিচার পায়নি। সেসব দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ১৯৭১ সালে সাবেক পূর্বপাকিস্তান ও বর্তমান বাংলাদেশের শহরাঞ্চলে ভয়াবহ গণহত্যা চালিয়েছিল পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। এই গণহত্যার ন্যায়বিচার হওয়া উচিত বলে মনে করে ভারত।

বৈঠকে টিএস ত্রিমূর্তি  আরও বলেন, ...এই আগ্রাসনের মুখে, বিশেষ করে শহরাঞ্চলে, বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য যারা সম্মুখযুদ্ধে জীবন দেয় তাদের রক্ষা করা রাষ্ট্রগুলোর সমান দায়িত্ব।  অন্য ভাবে বলতে গেলে আমাদের রক্ষাকারীদের রক্ষা করতে হবে।

এ সময় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে নায্যতা দেওয়ার যেকোনও প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করারও আহ্বান জানান তিনি। সূত্র: দ্য ইকোনোমিক টাইমস

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর