১১ জুলাই, ২০২২ ১৬:১৯
রয়টার্সের প্রতিবেদন

শিনজো আবে হত্যায় অভিযুক্তের ‘মা’ একটি চার্চের সদস্য ছিলেন

অনলাইন ডেস্ক

শিনজো আবে হত্যায় অভিযুক্তের ‘মা’ একটি চার্চের সদস্য ছিলেন

শিনজো আবে হত্যায় অভিযুক্ত তাৎসুইয়া ইয়ামাগামি

জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে হত্যায় একমাত্র অভিযুক্ত তাৎসুইয়া ইয়ামাগামির মা দেশটির ইউনিফিকেশন চার্চের সদস্য ছিলেন। চার্চটির জাপান শাখার প্রধান সোমবার এই তথ্য জানিয়েছেন।

৪১ বছর বয়সী বেকার যুবক তাৎসুইয়া ইয়ামাগামি শুক্রবার নারা শহরের একটি অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হয়ে পেছন থেকে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি করেন। পাঁচ ঘণ্টা পর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনা জাপানের মানুষসহ সমগ্র বিশ্বকে হতবাক করেছে।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত তাৎসুইয়া ইয়ামাগামি জানিয়েছেন, একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর প্রতি তার ক্ষোভ ছিল। তবে পুলিশ গোষ্ঠীটি সম্পর্কে এখনো কিছু জানায়নি।

ইয়ামাগামি পুলিশকে বলেছেন, শিনজো আবে একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীকে পৃষ্ঠপোষকতা করেন। ওই ধর্মীয় গোষ্ঠীকে ব্যাপক অর্থ সহায়তা প্রদানের কারণে তার মা (ইয়ামাগামির মা) নিঃস্ব হয়ে যান। এই ক্ষোভের কারণে তিনি শিনজো আবেকে হত্যা করবেন বলে স্থির করেন।

জাপানের ইউনিফিকেশন চার্চের প্রধান তোমিহিরু তানাকা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ইয়ামাগামির মা চার্চের সদস্য ছিলেন। তবে তিনি ওই নারীর নাম জানাননি। এছাড়া ইয়ামাগামির মায়ের অর্থ সহায়তা (ডোনেশন) নিয়েও তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

চার্চের প্রধান আরও জানিয়েছেন, শিনজো আবে কিংবা হত্যায় অভিযুক্ত ইয়ামাগামি কেউই চার্চের সদস্য ছিলেন না। 

চার্চের প্রেসিডেন্ট তানাকা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে চার্চের উপদেষ্টা ছিলেন না। চার্চ পুলিশকে তদন্তে সহায়তা করবে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে শিনজো আবে চার্চ সংশ্লিষ্ট একটি সংস্থার অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। সেখানে বক্তব্যে কোরিয়া উপদ্বীপে শান্তি প্রতিষ্ঠায় চার্চের কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।

দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৯৫৪ সালে স্বঘোষিত মসিহ সান মিয়াং মুন নামে এক ব্যক্তি এই চার্চ প্রতিষ্ঠা করেন। একসঙ্গে হাজারো তরুণ-তরুণীর বিবাহের আয়োজন করে চার্চটি বিশ্বব্যাপী আলোচনায় আসে। জাপানে এই চার্চের ৬ লাখ সদস্য রয়েছে।

চার্চ সূত্র জানিয়েছে, ইয়ামাগামির মা ১৯৯৮ সালের দিকে চার্চের সঙ্গে যুক্ত হন। কিন্তু ২০০৯ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত চার্চের অনুষ্ঠানে যোগদানে বিরত ছিলেন তিনি। দুই-তিন বছর আগে তিনি পুনরায় চার্চের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। মাসে একদিন তিনি চার্চে উপস্থিত হতেন।

রয়টার্স স্বতন্ত্রভাবে ইয়ামাগামির মায়ের সঙ্গে কথা বলতে পারেনি। এছাড়া ওই নারী আরও কোনো ধর্মীয় গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত আছেন কিনা সেটাও জানতে পারেনি।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর