১৯ জুলাই, ২০২২ ১১:৪২

ইরানে বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন পুতিন-এরদোয়ান-রায়িসি

অনলাইন ডেস্ক

ইরানে বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন পুতিন-এরদোয়ান-রায়িসি

(বাঁ থেকে) পুতিন, রায়িসি ও এরদোয়ান

ইরান সফরে যাচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। মঙ্গলবারই তার দেশটিতে যাওয়ার কথা। এরই মধ্যে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানও পৌঁছেছেন ইরানে। ইরানি নেতাদের পাশাপাশি এরদোয়ানের সঙ্গে কথা হবে পুতিনের। ত্রিপাক্ষিক আলোচনাও হবে সেখানে।

ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর পুতিন একবার সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্গত দুই দেশ সফর করেছেন। কিন্তু তার বাইরে এই প্রথম তিনি কোনও দেশে গেলেন। তার এই সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, পশ্চিমা দেশগুলো এখন রাশিয়ার অর্থনীতিকে অচল করে দেওয়ার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে তারা মস্কোকে ভাতে মারার চেষ্টা করছে। এই অবস্থায় পুতিন চীন, ইরান এবং ভারতের আরও কাছাকাছি আসার চেষ্টা করছেন।

মাত্র তিনদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সৌদি আরব সফর করে গেছেন। তারপরই পুতিন তেহরান যাচ্ছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনেইর সঙ্গে তার পঞ্চম বৈঠক করার জন্য। পুতিনের পররাষ্ট্রনীতি সংক্রান্ত পরামর্শদাতা ইউরি উসাকভ মস্কোতে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতৈক্য গড়ে তোলাই পুতিনের সফরের উদ্দেশ্য। অধিকাংশ বিষয়েই দুই নেতার অবস্থান এক বা প্রায় এক।

এরদোয়ানের সঙ্গে আলোচনা

এরদোয়ান মঙ্গলবার সকালে তেহরান পৌঁছে গেছেন। আলজাজিরা জানিয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট রায়িসি, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং এরদোয়ানের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে। সেই বৈঠকে সিরিয়া এবং ইউক্রেন নিয়ে কথা হবে। এছাড়া আলাদাভাবে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হবে। রায়িসি ও পুতিনের মধ্যে আলোচনায় ইরানের পরমাণু চুক্তি গুরুত্ব পাবে।

সিরিয়া নিয়ে রাশিয়া ও ইরানের সঙ্গে তুরস্কের মতভেদ আছে। রাশিয়া ও ইরান সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সমর্থন করে। তুরস্ক জানিয়েছে, তারা শিগগিরই উত্তর সিরিয়ার দু’টি শহরে সামরিক অভিযান চালাবে। সেই অভিযানের উদ্দেশ্য হবে সশস্ত্র কুর্দি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান।

পুতিনের বার্তা

ইরান সফরের মধ্য দিয়ে পুতিন একটি বার্তা পাঠাতে চাইছেন। তাহলো, আমেরিকার শত্রু দেশ ইরানের সঙ্গে রাশিয়া এখন সম্পর্ক আরও ভালো করতে চাইছে। সফরের আগে পুতিনের মুখপাত্র পেসকভ বলেছেন, রাশিয়া ও ইরান দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে।

তেহরানের কাছেও রাশিয়ার সমর্থন জরুরি। কারণ, আমেরিকা, ইসরায়েল ও একাধিক আরব দেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ভালো নয়। ইরানের এক সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, “মস্কো হলো সুপারপাওয়ার। আমাদের এরকমই শক্তিশালী বন্ধু দেশ চাই।” সূত্র: ডয়েচে ভেলে

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর