২২ আগস্ট, ২০২২ ১৩:৪১

ইউক্রেনে এখন পর্যন্ত তিনবার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার হয়েছে, দাবি রাশিয়ার

অনলাইন ডেস্ক

ইউক্রেনে এখন পর্যন্ত তিনবার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার হয়েছে, দাবি রাশিয়ার

প্রতীকী ছবি

ইউক্রেনে এখন পর্যন্ত রাশিয়া সফলতার সাথে তিনটি কিনজাল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু রুসিয়া-১ টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ দাবি করেন।

তিনি বলেন, “আমরা এ পর্যন্ত ইউক্রেন অভিযানে তিনবার এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছি এবং এর ফলাফল ছিল অত্যন্ত চমৎকার। এই ক্ষেপণাস্ত্রের মানের সাথে বিশ্বের অন্য কোনও দেশের ক্ষেপণাস্ত্রের তুলনা হয় না।”

রাশিয়ার তৈরি কিনজাল বা তলোয়ার নামে এই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০১৭ সাল থেকে রাশিয়ার বাহিনীতে যুক্ত হয়েছে। ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য এই ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের চেয়ে ১২ গুণ গতিতে ছুটতে পারে। কিনজাল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতি ঘণ্টায় পাড়ি দিতে পারে ১৪,৮০০ কিলোমিটার পথ। ছুটে চলার পথে শত্রুর বাধা পার হওয়ার জন্য ক্ষেপণাস্ত্রটি গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে এবং শত্রুর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সহজেই ভেদ করতে পারে। পরমাণু ওয়ারহেডবাহী এই ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার টিইউ-২২এমথ্রি বোমারু বিমান অথবা মিগ-৩১ যুদ্ধবিমান থেকেও ছোড়া যায়।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মার্চ মাসের মাঝামাঝি দিকে জানিয়েছিল যে, তারা ইউক্রেনের গভীর অভ্যন্তরে একটি অস্ত্র গুদাম ধ্বংসের জন্য এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। দৃশ্যত সেটিই ছিল কোনও যুদ্ধক্ষেত্রে প্রথম হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার।

ইউক্রেন সংঘাতে পঞ্চম প্রজন্মের এসইউ-৫৭ জঙ্গি বিমান মোতায়েন প্রসঙ্গে বলেন, যেকোনও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে এই বিমানের অত্যন্ত উঁচু মানের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা রয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা ক্ষমতা রয়েছে এবং আরও অনেক কিছু। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে এই বিমানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ যে অস্ত্র ব্যবহার করা হয় সেটিও অত্যন্ত শক্তিশালী অস্ত্র। এই বিমান এ সমস্ত অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে এবং সঠিকভাবে কাজ করেছে বলেও সের্গেই শোইগু জানান। সূত্র: রয়টার্স, আনাদোলু এজেন্সি

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর