২৬ আগস্ট, ২০২২ ১২:৩২

চীনের সঙ্গে উত্তেজনা, প্রতিরক্ষা খরচ রেকর্ড পরিমাণ বাড়াতে চায় তাইওয়ান

অনলাইন ডেস্ক

চীনের সঙ্গে উত্তেজনা, প্রতিরক্ষা খরচ রেকর্ড পরিমাণ বাড়াতে চায় তাইওয়ান

প্রতিরক্ষা খরচ রেকর্ড পরিমাণ বাড়াতে চায় তাইওয়ান

চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে। সম্প্রতি মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইপে সফরকে ঘিরে এই উত্তেজনা চরমে রূপ নেয়। এমতাবস্থায় চীনের হুমকি মোকাবিলায় প্রতিরক্ষা-খরচ রেকর্ড পরিমাণ বাড়াতে চায় তাইওয়ান। নতুন যুদ্ধবিমানও কিনবে তারা।

বৃহস্পতিবার তাইওয়ান সরকার প্রতিরক্ষা খাতে খরচ আরও এক হাজার ৯৪০ কোটি ডলার বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে।

সম্প্রতি তাইওয়ানকে ঘিরে চীন সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া করার পর এই সিদ্ধান্ত নিল তারা।

তাইপেই কী বলছে?

তাইওয়ানের এক মুখপাত্র বলেছেন, জাতীয় সুরক্ষা বাড়াবার জন্য প্রতি বছর প্রতিরক্ষায় ১৯ শতাংশ খরচ বাড়ানো হবে। ২০১৭ থেকে অবশ্য প্রতিরক্ষায় খরচ বাড়ানোর পরিমাণ ছিল চার শতাংশের কম। ফলে প্রতিরক্ষাখাতে রেকর্ড খরচ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

বাড়তি অর্থের বড় পরিমাণ যুদ্ধবিমান-সহ হাই টেক অস্ত্র কেনার কাজে ব্যবহার করা হবে। ডিরেক্টর জেনারেল অব বাজেট ও স্ট্যাটেসটিক্স মন্ত্রী বলেছেন, অপারেশনাল খরচ মেটানোর জন্য বাড়তি অর্থ ব্যয় করা হবে।

তিনি জানিয়েছেন, “আমরা দেশের সুরক্ষাকে সবসময়ই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিই। সেজন্যই এই অর্থবৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।”

তিনি বলেছেন, “চীনের হুমকির মোকাবিলায় যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করে রাখতে হয়েছে। তার জ্বালানি ও রক্ষনাবেক্ষণের একটা খরচ আছে।”

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এই পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। এখন তা পার্লামেন্টকে অনুমোদন করতে হবে।

তাইওয়ান কেন ভয় পাচ্ছে?

সম্প্রতি মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফরে যান। তিনি ফিরে যাওয়ার পরই চীন তাইওয়ানকে ঘিরে ধরে ভয়াবহ সামরিক কুচকাওয়াজ করে। চীনের নৌ, বিমান ও স্থলবাহিনী কুচকাওয়াজে অংশ নেয়।

চীনের বক্তব্য ছিল, আমেরিকা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাচ্ছে, যা তারা মেনে নেবে না। তাইওয়ানকে নিজেদের অভিন্ন অংশ মনে করে চীন। তাদের দাবি, বিশ্বের বাকি সব দেশকে ‘এক চীন’ নীতি নিয়ে চলতে হবে এবং তাইওয়ানকে আলাদাভাবে স্বীকৃতি দেওয়া যাবে না।

১৯৪৯ থেকে তাইওয়ান তাদের আলাদা অস্তিত্ব বজায় রেখেছে। তারা স্বাধীনভাবে সরকার চালাচ্ছে। কিন্তু চীনের দাবি, অন্য কোনও দেশ তাইওয়ানের সঙ্গে সরকারি স্তরে যোগাযোগ রাখতে পারবে না। তারা তাইওয়ান দখল করতে সামরিক অভিযানের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয় না।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রালয়ও চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মিকে ঠেকাতে অসম যুদ্ধ করার জন্য তৈরি।

২০২১ সালে চীনের যুদ্ধবিমান বারবার তাইওয়ানের এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোনের ভিতরে ঢুকেছে। সূত্র: রয়টার্স, আল-জাজিরা, ডয়েচে ভেলে

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর