লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলিতে শনিবার ভয়াবহ সংঘর্ষে ৩২ জন নিহত ও দেড় শতাধিক আহত হয়। কিন্তু রবিবার সকালে রাজধানীর পরিস্থিতি শান্ত দেখা গেছে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, সংসদ সমর্থিত প্রশাসন ত্রিপলিভিত্তিক সরকারকে স্থানচ্যুত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
সংঘর্ষের পর রোববার সকালে ত্রিপলির রাস্তায় মোটরচালকদের ভিড় ছিল, দোকানপাটও খোলা ছিল এবং লোকজন সংঘর্ষে চূর্ণ গ্লাস ও অন্যান্য ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করছিল। মধ্য ত্রিপলির রাস্তায় কিছু পোড়া গাড়ি দেখা গেছে।বিমান কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, রাজধানীর মিতিগা বিমাবন্দরে স্বাভাবিক ফ্লাইট চলছে।এটা নিরাপত্তা পরিস্থিতির আপাতত স্বস্তির লক্ষণ।
রয়টার্সের খবর অনুসারে, এই সংঘর্ষ প্রধানমন্ত্রী আব্দুলহামিদ আল দেবাইবাহ এবং ফাতহি বাসাগার মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের আশঙ্কা গভীর করেছে। দেবাইবাহকে সরিয়ে নতুন সরকার গঠন করতে চাচ্ছে বাসাগা। গত মে মাসের পর শনিবার ত্রিপলি দখল করতে বাসাগার এটা দ্বিতীয় প্রচেষ্টা ছিল।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। অচলাবস্থা নিরসনে তিনি সত্যিকারের সংলাপ আয়োজনের কথা বলেছেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল