২২ নভেম্বর, ২০২২ ১৫:১৯

যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব বাতিলের বিরুদ্ধে শামীমার আপিল শুনানিতে যা বলা হলো

অনলাইন ডেস্ক

যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব বাতিলের বিরুদ্ধে শামীমার আপিল শুনানিতে যা বলা হলো

শামীমা বেগম (২৩)। সংগৃহীত ছবি

কিশোরী শামীমা সিরিয়ার উদ্দেশ্যে যুক্তরাজ্য ছেড়েছিলেন ২০১৩ সালে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, সিরিয়ায় আইএস দলে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। জাতীয় নিরাপত্তা বিবেচনায় যুক্তরাজ্যে নাগরিকত্ব বাতিল হয়। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেন শামীমা।  

শামীমার অভিবাসন নিয়ে শুনানি চলছে। সেই শুনানিতে শামীমার যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব বাতিলকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। শুনানির প্রথম দিনে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলছে, ২৩ বছরের শামীমা সে দেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য এখনো হুমকি। তবে শামীমার আইনজীবীরা বলেছেন, শামীমার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কেড়ে নেওয়ার ঘটনা অনৈতিক। শামীমা পাচারের শিকার হয়েছিলেন কি না, তা বিবেচনা না করেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির মন্ত্রণালয়।

সিরিয়ায় শামীমার সঙ্গে নেদারল্যান্ডের যুবক আইএসের এক সদস্যের সঙ্গে বিয়ে হয়। আইএসের অধীনে তারা তিন বছরের বেশি সময় বসবাস করেন। ২০১৯ সালে ব্রিটিশ টাইমস পত্রিকার এক খবরে জানা যায়, শামীমা ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তিনি সিরিয়ার একটি শরণার্থীশিবিরে আছেন। পরে শামীমার সন্তান নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। শামীমা বলেন, এর আগেও তিনি দুই সন্তানকে হারিয়েছেন।

গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বিবিসির ‘আই অ্যাম নট আ মনস্টার’ পডকাস্টে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শামীমা বলেন, আইএস দলে যোগ দেওয়ার জন্য তিনি অনুতপ্ত। জীবনে যে কয় দিন বাঁচবেন, এই অনুতাপ তার থাকবে। বাকি জীবন যুক্তরাজ্যের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করবেন তিনি।

তবে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনজীবীরা বলেছেন, শামীমার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল। তারা বলেন, শামীমা নিরাপত্তার জন্য আইএস এলাকা থেকে পালিয়েছিলেন। কিন্তু আইএসের সঙ্গে তিনি সংশ্লিষ্ট নন, তা বলা যাবে না।

ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনজীবীরা আরও বলেন, কয়েক ধাপে পর্যালোচনা করে শামীমাকে নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শামীমা জঙ্গি দলে যোগ দেওয়ার জন্য কোনো অনুতাপ করেননি। তিনি যখন সিরিয়ায় যান, তখন আইএসের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সব জানতেন শামীমা। শুনানিতে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলে, ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে শামীমা পুলিশকে বলেছিলেন, তার বাড়িতে ফিরে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। তিনি আইএসকে সমর্থন করতেন।

শুনানি চলাকালে শামীমার আইনজীবীরা এমআইফাইভের এক কর্মকর্তাকে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে হাজির করেন। ওই প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, শামীমা মানবপাচারের শিকার হতে পারেন। তবে তিনি  হুমকিও হতে পারেন।

শামীমার আপিল শুনানি পাঁচ দিন ধরে চলবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর