শিরোনাম
১৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৬:১২

বাবা-ভাইয়ের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ হ্যারির

অনলাইন ডেস্ক

বাবা-ভাইয়ের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ হ্যারির

হ্যারি ও মেগানের বিয়ের সময় তোলা ছবিতে রাজপরিবারের সদস্যরা

ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে এক হয়েছিল রাজপরিবারের সদস্যরা। রাজপুত্র হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগানের সাথে রাজপরিবারে বাকি সদস্যদের বিশেষ করে উইলিয়াম ও তার স্ত্রী কেটের মধ্যে দূরত্ব কমছে বলেই ধারণা করা হচ্ছিল।  কিন্তু ‌‘হ্যারি অ্যান্ড মেগান’ প্রামাণ্যচিত্র প্রকাশ্যে আসার পর তাদের বিভক্তির বিষয়টি ক্রমেই আলোচিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বাবা ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন হ্যারি।

২০২০ সালে রাজকীয় পরিবারের দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে ছেড়ে দেন। বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি উইলিয়াম। এ নিয়ে সান্দ্রিংহামে পারিবারিক বৈঠকে উইলিয়াম ছোট ভাই হ্যারির সঙ্গে মতানৈক্যে জড়ান। চিৎকার-চেঁচামেচি করেন। প্রামাণ্যচিত্রে হ্যারি জানিয়েছেন, তিনি প্রথমে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ভাগাভাগি করে থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাতে অনুমতি দেয়নি রাজপরিবারের বাকি সদস্যরা। পরে হ্যারি পাকাপাকিভাবে যুক্তরাষ্ট্রে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

হ্যারি আরও জানিয়েছেন, রাজপরিবারে যারা কাজ করেন তারাই রাজপরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করেন। হ্যারি ও উইলিয়াম এ বিষয়ে আলোচনা করে নিয়েছিলেন যে তাদের মধ্যে এই ধরনের ভুল বোঝাবুঝি হবে না। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেটিই হয়েছে।

বাবা ব্রিটিশ রাজা চার্লসের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছেন হ্যারি। সান্দ্রিংহামে পারিবারিক বৈঠকে হাজির ছিলেন বর্তমান রাজা ও তৎকালীন প্রিন্স চার্লস ও রানি এলিজাবেথ। হ্যারি বলেছেন, সান্দ্রিংহামে পারিবারিক বৈঠকে তার বাবা এমন কিছু বলেছিলেন যা সত্য নয়। তার দাদিও চুপচাপ বসেছিলেন।

অনেকেই হ্যারির যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হওয়ার জন্য মেগানকে দায়ী করেন। তবে হ্যারি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাওয়ার তার সিদ্ধান্ত ছিল, মেগানের নয়।

মেগানকে নিয়ে যে নেতিবাচক প্রচারণা চালানো হয় তা প্রতিরোধে রাজপরিবার কোনো সহযোগিতা করেনি। এজন্যই তিনি যুক্তরাজ্য ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন।

সূত্র : বিবিসি

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর