ব্রিটিশ রাজপরিবার ছেড়ে আসা প্রিন্স হ্যারির বহুল প্রত্যাশিত আত্মজীবনী ‘স্পেয়ার’ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশের ক্ষণগণনা চলছে। এরই মধ্যে একটি কপি হাতে পেয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান। আত্মজীবনীতে বড় ভাই প্রিন্স অব ওয়েলস উইলিয়ামের বিরুদ্ধে শারীরিকভাবে জখমের অভিযোগ এনেছেন হ্যারি।
এছাড়া স্মৃতিমূলক এই গ্রন্থে তিনি বড় ভাই উইলিয়াম মিলে তাদের বাবা তৃতীয় চার্লসকে (বর্তমান রাজা) দ্বিতীয় বিয়ে না করার অনুরোধ জানানো, ২৫ জন তালেবান সদস্যকে হত্যা, নিজের ভার্জিনিটি খোয়ানোসহ রাজ পরিবারের অন্দর মহলের অনেক তথ্য প্রকাশ করেছেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদ (বাকিংহাম প্যালেস নামে পরিচিত) কিংবা প্রিন্স ওয়েলেসের পক্ষে কিংস্টন প্যালেস হ্যারির বই নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। আগামী মঙ্গলবার সারাবিশ্বে বইটি প্রকাশিত হবে। এখন পর্যন্ত জানা যাচ্ছে না, রাজপ্রাসাদ কোনো মন্তব্য করবে কিনা। এছাড়া রাজ পরিবারের কোনো সদস্য ব্যক্তিগত ভাবেও এখন পর্যন্ত এসব নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, ‘স্পেয়ার’-এ লেখা চমকে যাওয়া এমন অনেক ঘটনার একটি। আগামী সপ্তাহে আত্মজীবনীটি সারা বিশ্বে প্রকাশিত হবে। বইটি ব্রিটিশ রাজপরিবার নিয়ে মারাত্মক হইচই ফেলে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বইটির নাম এসেছে রাজকীয় ও অভিজাত পরিমণ্ডলের একটি পুরোনো কথা থেকে। সেটি হলো প্রথম ছেলে সিংহাসন, ক্ষমতা ও সম্পদের উত্তরাধিকারী আর দ্বিতীয়জন অতিরিক্ত (স্পেয়ার)। যা কিছু ঘটে, যে প্রথমে জন্ম নেয়, তারই জোটে। গার্ডিয়ান
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল