১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০৮:২২

বিবিসির দিল্লি ও মুম্বাই অফিসে রাতভর অভিযান

অনলাইন ডেস্ক

বিবিসির দিল্লি ও মুম্বাই অফিসে রাতভর অভিযান

প্রতীকী ছবি

ভারতের দিল্লি ও মুম্বাইয়ের বিবিসির অফিসে তল্লাশি চালাচ্ছে দেশটির আয়কর কর্মকর্তারা। 

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আয়কর দফতরের দল বিবিসির দিল্লি এবং মুম্বাইয়ে ‘ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশন’ (বিবিসি)-এর কার্যালয়ে পৌঁছায়। রাতভর সেই অভিযান অব্যাহত থাকে।

বুধবার ভোরে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযান শেষ হওয়ার কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, মঙ্গলবার সকালে অফিসে ঢুকেই বিবিসির সব সাংবাদিক এবং সংবাদকর্মীদের মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ নিজেদের কাছে জমা রাখেন আয়কর কর্তারা। তারপর শুরু হয় ‘সমীক্ষা’। আয়কর কর্মীরা ২০১২ সাল থেকে বিবিসির সব লেনদেনের তথ্য খতিয়ে দেখছেন। বিবিসি আগেই টুইট করে আয়কর দফতরের সঙ্গে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিল।

এদিকে বিবিসি’র অফিসে আয়কর দফতরের অভিযান ঘিরে ভারতের রাজনীতিতে তোলপাড় চলছে। ব্রিটেন সরকার পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। পরিস্থিতি এমনই যে, বিবৃতি দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। 

উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি জারি করেছে ‘এডিটরস গিল্ড’ও। আয়কর দফতরের ‘সমীক্ষার’ নিন্দা করে বিবৃতি প্রকাশ করেছে ‘প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়া’।

মোদীর তথ্যচিত্র ঘিরে বিতর্কের প্রেক্ষিতেই বিবিসির দফতরে এ আয়কর ‘সমীক্ষা’ চলছে। কয়েক সপ্তাহ আগেই বিবিসির তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’-এর প্রদর্শন বন্ধের জন্য ‘তৎপরতা’ শুরু করে মোদী সরকার। দুই দশক আগে গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমলে গোধরাকাণ্ড এবং তার পরবর্তী সাম্প্রদায়িক সহিংসতার কথা তুলে ধরা হয়েছে এক ঘণ্টার ওই তথ্যচিত্রে।

‘দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিল কেন্দ্রীয় সরকার। একে ‘অপপ্রচার’ আখ্যা দিয়ে দাবি করা হয়েছিল, ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে তথ্যচিত্রটি তৈরি। যদিও বিবিসি দাবি করে, যথেষ্ট গবেষণা করে তথ্যচিত্রটি বানানো হয়েছে। কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলের নেতারা তখন থেকেই বিষয়টি ‘সেন্সরশিপ’ আখ্যা দিয়ে আসছেন। সূত্র: এনডিটিভি

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর